জেলযাত্রা থেকে রক্ষা পেলেন অনিল আম্বানী, এরিকসনের বকেয়া টাকা মেটালেন দাদা মুকেশ

ভাইয়ের জেলে যাওয়া আটকালেন দাদা। এরিকসনের বকেয়া টাকা শোধ করে দিলেন রিলায়েন্স গ্রুপের কর্ণধার মুকেশ আম্বানী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, মঙ্গলবারই ছিল সুইডিশ সংস্থার বকেয়া টাকা মেটানোর শেষ দিন। কিন্তু টাকার ব্যবস্থা করে উঠতে পারেননি রিলায়েন্স কমিউনিকেশনের কর্ণধার। শেষ মুহূর্তে দাদা মুকেশ আম্বানী ৪৫৮ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা দিয়ে সংকট থেকে উদ্ধার করলেন ভাইকে।
রিলায়েন্স কমিউনিকেশনের এক মুখপাত্র জানান, আদালতের নির্দেশ অনুসারে সুদ সহ এরিকসন সংস্থার বকেয়া ৫৫০ কোটি টাকা পরিশোধ হয়ে গিয়েছে। সাড়ে পাঁচশো কোটি টাকার মধ্যে আগেই ১১৮ কোটি টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এছাড়াও ‘পেনাল্টি ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অতিরিক্ত ৩ কোটি টাকা দিতে হয়েছে। মুকেশ আম্বানীর সাহায্য নিয়ে, বহুজাতিক সংস্থা এরিকসনের ৪৫৮ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা মিটিয়ে দেয় অনিলের সংস্থা।
দাদা মুকেশ আম্বানী ও বৌদি নীতা আম্বানীকে এ জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন অনিল আম্বানী। সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে অনিল আম্বানী জানান, এই কঠিন সময়ে আমার পাশে দাঁড়িয়ে সাহস জোগানোর জন্য দাদা মুকেশ এবং বৌদি নিতাকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ। সময়োচিত এই সমর্থন আমাদের পারিবারিক মূল্যবোধের দৃঢ়তার পরিচয়।
২০১৪ সালে সুইডেনের বহুজাতিক সংস্থা এরিকসনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল অনিল আম্বানীর সংস্থা আর কমের। শর্ত ছিল, ভারতে আর কমের টেলিকম ব্যবসা সামলাবে এরিকসন। কিন্তু, পরে আর কমের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ আনে এরিকসন। দ্বারস্থ হয় ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনালের। অনিল আম্বানীর আর কমের কাছে বকেয়া প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা দাবি করেছিল এরিকসন। পরে ৫৫০ কোটি টাকা মেটানোর রফা সূত্রে আসে দুই সংস্থা। গত বছর ৩০ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেই টাকা মেটানোর কথা ছিল আর কমের। কিন্তু তা না হওয়ায়, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে সুইডিশ বহুজাতিক সংস্থাটি। এমনকী এরিকসনের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়, আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় আর কম কর্ণধার অনিল আম্বানীকে গ্রেফতারির নির্দেশ দিক কোর্ট। গত মাসে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, চার সপ্তাহের মধ্যে এরিকসনের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। আর টাকা না মেটালে তিনমাসের জন্য জেল হবে অনিল আম্বানীর।

 

Comments are closed.