ভোটের আগেই ভোট শুরু। তবে এ ভোটে নেই প্রচার, ফ্ল্যাগ-ব্যানার-ফেস্টুন। রাজ্য পুলিশ না কেন্দ্রীয় বাহিনী, তা নিয়ে আকচাআকচিও নেই। এমনকী বালাই নেই গরমাগরম ভাষণেরও। সোশ্যাল মিডিয়ার বিশ্বায়িত ময়দানে এ ভোট যেন লোকসভার জল মাপার এক আদর্শ ঘাট। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র। আসন্ন লোকসভা ভোটে তাঁর লড়া উচিত হবে কিনা তা জানতে এক সপ্তাহ আগে ফেসবুক পোলের সাহায্য নিয়েছিলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র। শেষবার কম-বেশি সাড়ে ১২ লক্ষ ভোটারের বালুরঘাট কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে ভোটে লড়া ওমপ্রকাশ, ফেসবুকের ভোটে পেলেন ১ হাজারটি ভোট। যদিও তাঁর ভোটে লড়ার দিকেই সোশ্যাল মিডিয়ার পাল্লা ভারি।
ভোটে লড়বেন কি না জানতে ফেসবুক পোলে করা অধিকাংশ কমেন্টে অবশ্য ওমপ্রকাশ মিশ্রকে নির্বাচনে লড়ার আবেদন করা হয়েছে। বারাকপুর থেকে বালুরঘাট, প্রায় সকলেই তাঁকে নিজেদের কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ভোটে জিতলে যে সংসদ একজন পণ্ডিত ব্যক্তিকে পাবে, তাও লিখেছেন অনেকে।
অনেকে করেছেন তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সওয়াল। কেউ আবার বলেছেন, মর্যাদা বজায় রাখতে ভোটে দাঁড়াবেন না।
হারজিতের কথা মাথায় না রেখে তাঁকে ময়দানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে।
তবে বেশকিছু কমেন্টে তাঁর ভোটে লড়া উচিত নয়, তাও ফুটে উঠেছে। তানিয়া টুবাই নামে একজন আবার কমেন্ট করেছেন, আসন্ন লোকসভা ভোটে লড়ার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতাই নাকি নেই জেএনইউ-এর প্রাক্তনী ওমপ্রকাশের। যদিও কেন তিনি একথা বলছেন তা জানা যায়নি।
ভোটে লড়ার ইচ্ছে তো অনেকেরই থাকে কিন্তু ভোটে লড়ার জন্য জনমত যাচাইয়ের এই ভার্চুয়াল কায়দায় অনেককেই চমকে দিয়েছেন আদতে যাদবপুর কেন্দ্রের ভোটার ওমপ্রকাশ মিশ্র। এখন দেখার, আদত নির্বাচনের ময়দানে ফেসবুক পোলের ফলের কতটা প্রতিফলন হয়।