বদলায়নি পরিস্থিতি, ভোট দেবেন না নির্ভয়ার মা-বাবা, বললেন, মেয়ের ফিরতে রাত হলে এখনও বুক কাঁপে মায়েদের

দেশজুড়ে চলছে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন, মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ করছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। কিন্তু এই ভোট উৎসবে মাততে নারাজ নির্ভয়ার বাবা মা। সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দিলেন এবার ভোট দিচ্ছেন না তাঁরা।
২০১২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর। রাজধানী দিল্লির বুকে চলন্ত বাসে গণধর্ষিতা হন বছর ২৩ এর পড়ুয়া, নির্ভয়া, তাঁর উপর চলে অকথ্য অত্যাচার। ঘটনার ১১ দিন পর সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্ভয়ার।
২০১৩ সালে ঘটনায় জড়িত ৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। এদের মধ্যে এক অভিযুক্তর জেলের ভেতর রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়। একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তিন বছর জেল খেটে এখন মুক্ত। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টও ৪ আসামীর মৃত্যদণ্ড বহাল রাখে। তবে আজও বাস্তবায়িত হয়নি সাজা।
নির্ভয়ার মা আশা দেবীর কথায়, সব রাজনৈতিক দল প্রতিশ্রুতি, আশ্বাস, সহানুভূতি দেখালেও, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তিনি বলেন, কোনও মেয়ের বাড়ি ফিরতে রাত হলে, আজও আশঙ্কায় বুক কাঁপে মায়েদের। নির্ভয়ার মায়ের দাবি, সব রাজনৈতিক দল মহিলাদের ক্ষমতায়ন, সম্মান নিয়ে বড় বড় কথা বলে। কিন্তু সমাজে আসেনি কোনও পরিবর্তন। এই সিস্টেমে মানুষ আর আস্থাশীল নন বলেই মনে করেন আশা দেবী। এবার তাই ভোট দেবেন না বলে ঠিক করেছেন। নির্ভয়ার বাবা বদ্রীনাথ সিংহের অভিযোগ, প্রত্যেকটা নির্বাচন আসলে নেতাদের ফাঁপা আশ্বাস দেওয়ার আয়োজন। এখনও দিল্লির বহু জায়গায় স্ট্রিট লাইট জ্বলে না। রাত হলে অটোরিকশা দূরে যেতে চায় না। মহিলা নিরাপত্তা এখনও দূর অস্ত, অভিযোগ নির্ভয়ার বাবার। আশা দেবী ও বদ্রীনাথ সিংহের কথায়, সাধারণ মানুষের জন্য কেবল যন্ত্রণা আর অসহায়তা পড়ে আছে। তাই নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে চান না তাঁরা।

Comments are closed.