কাল সোমবার সরকারি কর্মচারীদের বর্ধিত বেতনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় পেশ করবেন মুখ্যমন্ত্রী, দেখে নিন কতটা বৃদ্ধি পাচ্ছে বেতন

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির জন্য ষষ্ঠ পে কমিশনের সুপারিশ আগামীকাল সোমবার, ২৩ শে সেপ্টেম্ববর মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেশ করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ১৩ ই সেপ্টেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সরকারি কর্মীদের সভা থেকে পে কমিশনের সুপারিশ মেনে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ সবটাই মেনে নেবে রাজ্য সরকার। আগামী বছরের ১ লা জানুয়ারি থেকে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বর্ধিত বেতন কার্যকর করার কথা জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারি কর্মীদের গ্র্যাচুইটির হার ৬ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ লক্ষ টাকা করার কথা ঘোষণা করলেও, সেদিন এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। যা সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরেই সামনে আসতে পারে।
তবে বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে নিলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতনক্রম কী হচ্ছে তা নিয়ে আলোকপাত করেছিলেন বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার। জানিয়েছিলেন, কোনও সরকারি কর্মচারীর বেসিক ১০০ টাকা হলে তিনি তার সঙ্গে ১২৫ শতাংশ ডিএ পেতেন। সুতরাং ডিএ হত ১২৫ টাকা। দুটো মিলে হল ২২৫ টাকা। এর সঙ্গে বেসিকের ১৫ শতাংশ হিসেবে ১৫ টাকা পেতেন হাউস রেন্ট। অর্থাৎ, ১০০ টাকা বেসিক হলে সব মিলিয়ে সরকারি কর্মচারীরা পেতেন ২৪০ টাকা। আগের বেসিক এবং ডিএ মিলে ছিল ২২৫ টাকা। সেটাকে রেখে পে কমিশন তার ওপর ১৪.২ শতাংশ বৃদ্ধি সুপারিশ করে। এর ফলে তা বেড়ে হল ২৫৭ টাকা। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিকে মাপকাঠি ধরে হাউস রেন্ট ১২ শতাংশ করা হয়। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে ১০০ টাকা যাঁর বেসিক ছিল, তিনি আগে পেতেন ২৪০ টাকা। বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বর্ধিত বেতন হবে ২৮৭ টাকা। সমস্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীর ক্ষেত্রে এই নিয়ম লাগু হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
যদিও সিপিএম প্রভাবিত কো-অর্ডিনেশন কমিটি সহ কয়েকটি সংগঠন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। বকেয়া ডিএ দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কোন উচ্চবাচ্য না করায় অসন্তোষ প্রকাশ করে সংগঠনগুলি। এ ব্যাপারেও সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কিনা, সেদিকে তাকিয়ে আছেন রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা।
বর্ধিত বেতন কাঠামো ঘোষণার পাশাপাশি পুজোর আগে সরকার আর কিছু সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেয় কিনা সেদিকেই তাকিয়ে সরকারি কর্মচারীরা।

Comments are closed.