মোদী তাঁকে বলেছিলেন ‘ম্যান অফ আইডিয়াজ’, বেশ কয়েকটি বেস্ট সেলার বইয়ের লেখকও; চিনে নিন প্রাক্তন দুঁদে আমলা সিভি আনন্দ বোসকে 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে বলেছিলেন ‘ম্যান অফ আইডিয়া‘।কেন্দ্র এবং রাজ্যের একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও সামলেছেন। পাশাপাশি তিনটে ভাষায় লিখেছেন একগুচ্ছ বই। প্রাক্তন দুঁদে আমলা সেই সিভি আনন্দ বোসই বাংলার নতুন রাজ্যপাল। যাঁর ‘নিয়োগ’ নিয়ে ইতিমধ্যেই শাসক বিরোধী তরজাও শুরু হয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই রাজ্যের নতুন সাংবিধানিক প্রধানকে নিয়ে রাজ্যবাসীর মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। 

১৯৫১ সালের ২ জানুয়ারি কেরলের কোট্টায়ামে জন্ম। ১৯৭৭-এর কেরল ক্যাডারের আইএএস অফিসার আনন্দ বোস। শোনা যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই প্রাক্তন আমলা। কেন্দ্র এবং রাজ্যের একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। অবসরের সময় জাতীয় মিউজিয়ামের প্রশাসক ছিলেন। এমনকী প্রত্যেক প্রত্যেক দেশবাসীর জন্য যে পাকা বাড়ির প্রকল্প, সেই  ভাবনাটিও নাকি তাঁর মস্তিষ্ক প্রসূত। 

ছোটবেলা কেটেছে কেরলের গ্রামেরই। এরপর কে ই কলেজ থেকে কলা বিভাগে স্নাতক। এবং কেরল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। এরপর বিড়লা ইনস্টিটিউট থেকে পিএইচডি। ছাত্রজীবন থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন বাংলার বর্তমান রাজ্যপাল। ছাত্র অবস্থায় ১০০ টিরও বেশি পদক পেয়েছিলেন যার মধ্যে ১৫টিই স্বর্ণ পদক। 

সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলানোর পাশাপাশি তিনি সু’লেখক হিসেবেও পরিচিত। ইংরেজি, হিন্দি এবং মালায়লাম মিলিয়ে প্রায় ৫০ টি’রক বেশি বই লিখেছেন। যার মধ্যে অনেকগুলো আবার বেস্ট সেলার। 

পেশাগত জীবনে তিনি কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিবও ছিলেন। পাশপাশি একধিক দফতরের মুখ্য সচিবের দায়িত্ব সামলেছেন। এছাড়াও দেশের হয়ে ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ, জেনেভা এন্ড ইন্টারন্যাশনাল ফিউশন এনার্জি, অ্যাটমিক এনার্জি এডুকেশন সোসাইটির চেয়ারম্যান পদও সামলেছেন। 

সুবক্তা হিসেবেও পরিচিত বাংলার নতুন রাজ্যপাল। টানা তিন বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা বক্তার খেতাব পেয়েছেন। সেই সঙ্গে তাঁর বায়োডাটা থেকে জানা যাচ্ছে, মুসৌরিতে আইএএস অফিসারের প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমিতেও প্রথম অনুষ্ঠিত বিতর্ক সভায়ও তিনি প্রথম হয়েছিলেন। সব মিলিয়ে রাজ্যের নতুন রাজ্যপালের সঙ্গে নবান্নের কেমন সম্পর্ক থাকে এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। 

Comments are closed.