ধর্ম বা জাতির নামে ভোটে ফায়দা তোলা বন্ধ করতে মামলা অনাবাসী ভারতীয়র, নির্বাচন কমিশনকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের

ধর্ম বা জাতির নামে ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা করলে, সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের নেতা বা মুখপাত্রের বিরুদ্ধে নিতে হবে কড়া ব্যবস্থা, এই রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট।
কোনও রাজনৈতিক দল ধর্ম বা জাতির নাম নিয়ে ভোট চাইলে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে, সোমবার এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল হয়।
অনাবাসী ভারতীয় হরপ্রীত মনসুখানি তাঁর হলফনামায় আবেদন করেন, নির্বাচনী প্রচারে কোনও রাজনৈতিক দল যাতে ধর্ম ও জাতির নাম করে ভোট চাইতে না পারে, তার জন্য স্পষ্ট নির্দেশিকা দিক সুপ্রিম কোর্ট। হলফনামায় হরপ্রীত মনসুখানির আবেদন, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি গড়া হোক, যাঁরা লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার ওপর নজর রাখবেন।
এই আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনকে নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
হলফনামায় বলা হয়েছে, দুর্নীতিমুক্ত নির্বাচনের জন্য শুধুমাত্র রিপ্রেজেন্টেশান অব পিপল অ্যাক্টের ১২৩ নম্বর ধারাই যথেষ্ট নয়। যে কোনও রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র বা কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা ভোটে না লড়েও, সোশ্যাল মিডিয়া বা টিভি চ্যানেলে নির্দিষ্ট কোনও ধর্ম বা জাতিকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মন্তব্য করে বিভাজনের রাজনীতি করতে পারেন। তবে যেহেতু তাঁরা ভোটে লড়ছেন না, তাই নির্বাচন কমিশনের আওতার বাইরেই থেকে যান। ভোটের সময় যাতে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এই ধরণের মন্তব্য করে পার পেতে না পারেন, তার জন্য সচেষ্ট হওয়া দরকার বলে ওই রিট পিটিশনে আবেদন করেন হরপ্রীত মনসুখানি। হলফনামায় আরও বলা হয়, কোনও জাতি, ধর্ম, সম্প্রদায় বা ভাষার ভিত্তিতে ভোট প্রচার করে মানুষকে প্রভাবিত করার চেষ্টা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার পরিপন্থী।
পাশাপাশি হলফনামায়, যে সমস্ত সংবাদমাধ্যম ধর্ম বা জাতি সংক্রান্ত বিতর্ক সভার আয়োজন করে, তাদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।

Comments are closed.