মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত সাংসদ প্রজ্ঞা সিংহকে রাখা হল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সংসদীয় প্যানেলে, বিতর্কের ঝড়

২০০৮ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলার অভিযুক্ত প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর ঠাঁই পেলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সংসদীয় উপদেষ্টা কমিটিতে। এই কমিটির মাথায় রয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
বরাবরই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ভোপালের বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর। ২০০৮ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ মহারাষ্ট্রের মালেগাঁও বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ছ’জন মানুষ, আহত হন ১০০-র বেশি। সেই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে প্রজ্ঞা সিংহ জেল খেটেছেন। পরে জামিনে মুক্তি পেলেও এনআইএ কোর্টে এই মামলা জারি রয়েছে। ভোপালের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে আনল’ফুল অ্যাক্টিভিটিস (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট বা ইউএপিএ আইনের একাধিক ধারায় মামলা করা হয়। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এহেন বিতর্কিত সাংসদকেই রাখা হল দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সংসদীয় উপদেষ্টা কমিটিতে।
২০১৭ সালে প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুরকে তাঁর ভগ্নস্বাস্থ্যের কারণে জামিনে মুক্তি দেয় বম্বে হাইকোর্ট। ২০১৯ লোকসভা ভোটে ভোপাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়েন তিনি। যা নিয়ে প্রবল বিতর্ক হয়েছিল। সেই বিতর্ক আরও উস্কে দেয় প্রজ্ঞা সিংহের একাধিক বিস্ফোরক ও বেফাঁস মন্তব্য। গত এপ্রিল মাসে প্রজ্ঞা মন্তব্য করেন, ২৬/১১ মুম্বই হামলায় নিহত মুম্বই এটিএস প্রধান হেমন্ত কারকারের মৃত্যু হয় তাঁর অভিশাপে। এই হেমন্ত কারকারেই মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় প্রজ্ঞা সিংহের বিরুদ্ধে তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। এরপর মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে দেশপ্রেমিক আখ্যা দিয়ে ফের বিতর্ক সৃষ্টি করেন বিজেপি নেত্রী। তার জন্য প্রজ্ঞা সিংহের কড়া সমালোচনা করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখানেই শেষ নয়। লোকসভা ভোটের আগে এক টেলিভিশন চ্যানেলের ইন্টারভিউতে প্রজ্ঞা জোর গলায় জানান, বাবরি মসজিদ ধ্বংসে অংশ নিতে পেরে তিনি গর্বিত। সাংসদ হওয়ার পরেও আলটপকা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেননি বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত সাংসদ। সেই প্রজ্ঞাকে প্রতিরক্ষা দফতরের সংসদীয় কমিটিতে রাখায় শুরু হল নতুন বিতর্ক।

Comments are closed.