ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যন্ডের পরবর্তী গভর্নর কি রঘুরাম রাজন? ব্রিটেনে জল্পনা তুঙ্গে

জল্পনা উড়িয়েছেন বারবার। কিন্তু জল্পনা তাঁর পিছু ছাড়েনি। ব্রিটেনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের পরবর্তী গভর্নর হওয়ার লড়াইয়ের শেষ ল্যাপে এখনও অ্যাডভান্টেজ রঘুরাম রাজন। সূত্রের খবর, মোট ৬ জন প্রতিযোগীর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দু’জনের মধ্যে রয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। বর্তমান গভর্নর মার্ক কারনির কাছ থেকে দায়িত্বভার বুঝে নেওয়ার দৌড়ে বাকিদের বেশ খানিকটা পিছনে ফেলে দিয়েছেন রাজন, গুঞ্জন ব্রিটেনের পত্রপত্রিকায়।
আগামী অক্টোবর নাগাদ ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যন্ডের নতুন গভর্নরকে বেছে নেবেন চ্যান্সেলর অফ দ্য এক্সচেকার ফিলিপ হ্যামন্ড। দু’বার মেয়াদ বাড়ানোর পর ২০২০ সালেও ফের মার্ক কারনিই গভর্নর থেকে যাবেন, এমনটা মনে করছে না ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম। মনে করা হচ্ছে, ভারতের পর ইংল্যন্ডেরও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর হওয়ার মতো বিরলতম ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারেন রঘুরাম রাজন।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, রাজনের মূল লড়াই ফিনান্সিয়াল কনডাক্ট অথরিটির সিইও অ্যান্ড্রু বেইলির সঙ্গে। রঘুরাম রাজন, ২০১৩-১৬ সাল পর্যন্ত সামলেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নরের পদ। তার আগে ২০০৩-০৭ পর্যন্ত ছিলেন আইএমএফের চিফ ইকনমিস্ট। আরবিআই ছাড়ার পর ফিরে যান শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে, অধ্যাপনার জগতে।
ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর পদের দৌড়ে রঘুরাম রাজন ছাড়াও রয়েছেন আরেক ভারতীয় বংশোদ্ভুত। তিনি, স্যান্টেন্ডার ইউকে-র চেয়ারপার্সন সৃষ্টি ভাদেরা। ব্যাঙ্কিং সেক্টরে পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও গর্ডন ব্রাউন সরকারের সময় তাঁর মন্ত্রিত্ব নজর কেড়েছিল ইংরেজদের।
ফিলিপ হ্যামন্ড জানিয়েছেন, ‘কমনওয়েলথ দেশগুলি থেকে আমরা যদি গভর্নর পাই, তাহলে আপত্তির কোনও কারণ নেই’। তবে তিনি মনে করিয়ে দিচ্ছেন ব্রেক্সিট পরবর্তী পরিস্থিতির কথা। আগামী মাসেই নির্বাচন। তার ফলের উপর নির্ভর করছে থেরেসা মে কিংবা ফিলিপ হ্যামন্ডদের পদের ভবিষ্যত। পরিস্থিতি যা, আগামী মাসের নির্বাচনের পর থেরেসা মে’র ফেরার আশা প্রায় নেই বললেই চলে। নতুন সরকার এলে যে গভর্নরের দৌড়ে থাকা নামের তালিকায় পরিবর্তন হবে না, তা কে বলতে পারে? ফলে গোটা ব্যাপারটাই নির্ভর করছে রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর। সম্ভবত এই কারণেই রঘুরাম রাজনও এবিষয়ে ঝেড়ে কাশছেন না, মনে করছেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

Comments are closed.