একশো রুটে দেড়শো যাত্রীবাহী ট্রেনকে শীঘ্রই বেসরকারি হাতে দিচ্ছে রেল! কলকাতার ১২ টি, মুম্বইয়ের ২৬ টি এবং দিল্লির ৩৫ টি ট্রেন চিহ্নিত

রেলে বড় বেসরকারিকরণের পথে মোদী সরকার। দেশের ১০০ টি রুটে প্রায় ১৫০ টি যাত্রীবাহী ট্রেনকে বেসরকারি হাতে (Rail Privatization) তুলে দিচ্ছে কেন্দ্র। আগামী এক মাসের মধ্যেই এর নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।
রেল সূত্রের খবর, যে সব দূরবর্তী রুটে ট্রেনের বেসরকারিকরণের (Rail Privatization) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার বেশিরভাগই দিল্লি, মুম্বই ও কলকাতার। এদের মধ্যে অন্যতম হল মুম্বই-কলকাতা রুট, মুম্বই-গুয়াহাটি, নিউ দিল্লি-মুম্বই, নিউ দিল্লি-কলকাতা, কলকাতা-চেন্নাই, নিউ দিল্লি-বেঙ্গালুরু, নিউ দিল্লি-চেন্নাই, চেন্নাই-যোধপুর ও তিরুবনন্তপুরম-গুয়াহাটি। তাছাড়াও রয়েছে, মুম্বই-বারাণসী, মুম্বই-পুণে, মুম্বই-লখনউ, মুম্বই নাগপুর, নাগপুর-পুণে, সেকেন্দ্রাবাদ-বিশাখাপত্তনম, ভুবনেশ্বর-কলকাতা, পাটনা-বেঙ্গালুরু, পুণে-পাটনা, চেন্নাই-কোয়েম্বাটুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ রুটের ট্রেন। বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে নিউ দিল্লি ও পাটনা, এলাহাবাদ, অমৃতসর, চণ্ডীগড়, কাতরা, গোরখপুর, ছাপরা, ভাগলপুরের সংযোগকারী ট্রেনের।
দেশের মূল শহরগুলির বাণিজ্যিক কার্যকারিতার দিকে নজর রেখে এই বেসরকারিকরণ হচ্ছে বলে দাবি রেলের। ১০০ টি দূরপাল্লার ট্রেনের মধ্যে দিল্লি থেকে যাওয়া-আসা করা ৩৫ টি ট্রেনকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, মুম্বই থেকে ২৬ টি, কলকাতা থেকে ১২ টি, চেন্নাই থেকে ১১ টি এবং বেঙ্গালুরুর আটটি ট্রেনের বেসরকারিকরণের উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় রেল।
এরপরে নজর দেওয়া হয়েছে ‘নন মেট্রো’ শহরগুলির ট্রেনের উপর। যার মধ্যে রয়েছে গোরখপুর-লখনউ, কোটা-জয়পুর, চণ্ডীগড়-লখনউ, বিশাখাপত্তনম-তিরুপতি এবং নাগপুর-পুণের মতো গুরুত্বপূর্ণ দূরপাল্লার ট্রেন। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অ্যাপ্রাইজাল কমিটি (পিপিপিএসি) গত ১৯ ডিসেম্বর এ ব্যাপারে ছাড়পত্র দিয়েছে।
রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদকুমার যাদব জানান, ১০-১৫ দিনের মধ্যে নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। তাঁর দাবি, ভারতীয় রেলের ইতিহাসে মাইলস্টোন হতে চলেছে এই উদ্যোগ।
গত সেপ্টেম্বরেই জানা গিয়েছিল, ১৫০ টির বেশি দূরপাল্লার ট্রেন বেসরকারিকরণ করতে চলেছে কেন্দ্র। এ জন্য অক্টোবর মাসে নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্তের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গঠন করা হয়। সূত্রের খবর, বেসরকারি ট্রেনের ভাড়া ও প্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যাপারে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে স্বাধীনতা দিচ্ছে ভারতীয় রেল।

Comments are closed.