যে সময় তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তখন তিনি দেশের বাইরে ছিলেন, দাবি রাকেশ আস্থানার

সিবিআই স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে হায়দরাবাদের জনৈক ব্যবসায়ী সতীশ সানা প্রায় তিন কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার যে অভিযোগ এনেছেন, প্রথম থেকেই তা অস্বীকার করে এসেছেন আস্থানা। এবার জানা গেল, আস্থানা তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, ঘুষ নেওয়ার যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, গত বছর ডিসেম্বরের ৩ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত তিনি লন্ডনে ছিলেন। তাই সতীশ সানা যে অভিযোগ করছেন, ওই সময়ের মধ্যে তিনি দিল্লিতে মিডেল ম্যান মারফত তাঁর কাছে ঘুষের টাকা পাঠিয়েছিলেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আস্থানার দাবি, তিনি সতীশ সানা বা তাঁর লোকজনের সঙ্গে কোনও দিন দেখা করেননি।


পড়ুনঃ আস্থানার বিরুদ্ধে দুর্নীতির জোরালো প্রমাণ আছে, সুপ্রিম কোর্টে জানালেন সিবিআই-এর বদলি হওয়া তদন্তকারী অফিসার এ কে বাসসি


সংবাদমাধ্যম এনডি টিভিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সতীশ সানা নামের ওই অভিযুক্ত ব্যবসায়ী নাকি তদন্তকারীদের জানিয়েছিলেন, গত বছর ২ রা ডিসেম্বর তিনি দুবাই গিয়ে তাঁর ভাই সোমেশ ও মনোজ প্রসাদের সঙ্গে দেখা করেন। তখন তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপে এক সিবিআই আধিকারিকের সঙ্গে সতীশকে কথা বলতে বলেন। তিনি কথা বললে ওই সিবিআই আধিকারিক মাংস ব্যবসায়ী মইন কুরেশি কেস থেকে তাঁকে বাঁচানোর জন্য ৫ কোটি টাকা ঘুষ চান। তাঁর আরও দাবি, কথা বলার সময় ওই সিবিআই আধিকারিকের নাম জানতেন না, পরে জানতে পারেন ঘুষ চাওয়া ওই সিবিআই আধিকারিকের নাম রাকেশ আস্থানা। সানার দাবি, এরপর ঘুষ হিসাবে ১ কোটি টাকা দুবাই থেকেই আস্থানার কাছে পাঠানো হয়। পরে গত বছর ডিসেম্বরের ১৩ তারিখ তাঁর মিডল ম্যান সোমেশ প্রসাদ দিল্লি প্রেস ক্লাবে আস্থানার সঙ্গে দেখা করে তাঁকে আরও ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা দেয়।
এখানেই ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে, তবে কার কথা ঠিক? একদিকে আস্থানা বলছেন, তিনি গত বছর ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত লন্ডনে ছিলেন। কিন্তু সতীশ সানার দাবি, ১৩ ডিসেম্বর তাঁর লোক দিল্লিতে দেখা করে আস্থানাকে ঘুষ দেয়।
উল্লেখ্য, পরস্পরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন সিবিআই প্রধান অলোক ভর্মা ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদাধিকারী রাকেশ আস্থানা। সিবিআই-এর অন্দরে এই নজিরবিহীন কোন্দলের জেরে আপাতত ভার্মা ও আস্থানা দুজনকেই সিবিআই থেকে সরিয়ে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

Comments are closed.