চপার বা ট্রেক করে নয়, রোপওয়ে করে পৌঁছে যাওয়া যাবে বৈষ্ণোদেবী; শীঘ্রই মিলবে পরিষেবা 

এতদিন দুই ভাবে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে পৌঁছন যেতে। বেস ক্যাম্প থেকে দীর্ঘ ১২ কিমি ট্রেক করে অথবা চপারে করে। ট্রেকিংটা যেমন পরিশ্রমের একই ভাবে কপ্টারে করে যাওয়াটা যথেষ্ট খরচ সাপেক্ষ। এবার পরিশ্রম এবং খরচ বাঁচাতে খুব শীঘ্রই শুরু হচ্ছে রোপওয়ে পরিষেবা। খরচ তো বাঁচবেই, একই সঙ্গে ট্রেকিং করে যেতে যে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা দীর্ঘ সময় লাগতো, সেটি কমে এক্কেবারে ৬ থেকে ৭ মিনিটে কমে আসবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এটি তীর্থযাত্রীদের জন্য খুশির খবর। 

দীর্ঘ দিন ধরেই রোপওয়ে সার্ভিস নিয়ে পরিকল্পনা চলছিল। জানা গিয়েছে, ‘রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল এবং ইকোনোমিক সার্ভিস’ বুধবারই রোপওয়ে নির্মাণের জন্য টেন্ডার ডেকেছে। পুরো প্রকল্পটির জন্য ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সব ঠিক থাকলে ৩ বছরের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে রোপওয়ে পরিষেবা। এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে, কাটরা বেস ক্যাম্পের তারাকোট থেকে বৈষ্ণোদেবী পর্যন্ত চলবে রোপওয়ে। 

জম্মু ও কাশ্মীরের এই বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে প্রতি বছরই অজস্র তীর্থযাত্রী আসেন। কোভিড পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালেই প্রায় ৯১ লক্ষ তীর্থযাত্রী বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে এসেছিলেন। এই বিপুল সংখ্যক তীর্থযাত্রীর একটি বড় অংশই পায়ে হেঁটে মন্দিরে পৌঁছে ছিলেন। তবে রোপওয়ে সার্ভিস শুরু হলে, তীর্থযাত্রীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশাবাদী স্থানীয় প্রশাসন। 

Comments are closed.