জেলের বাইরে থাকতে সাহারা কর্ণধার সুব্রত রায়কে দিতে হবে ৬২ হাজার কোটি টাকা, শীর্ষ আদালতে আবেদন সেবি’র

অবিলম্বে ৬২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা মেটাতে হবে সাহারাকে। অন্যথায় সুব্রত রায়ের প্যারোল বাতিল করা হোক। সাহারা কর্তার বিরুদ্ধে এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাল সেবি।

শীর্ষ আদালতে সেবি জানিয়েছে, ৮ বছর আগে ২৫ হাজার ৭০০ কোটির দেনা মেটাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সাহারা ইন্ডিয়া পরিবারকে। ব্লুমবার্গের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, তাদের দুই সংস্থার দেনা সুদে আসলে বেড়ে হয়েছে ৬২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অবিলম্বে সেই টাকা না মেটালে সুব্রত রায়কে জেলে ফেরত পাঠানোর দাবি করেছে সেবি।

২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানায়, সাহারা গ্রুপের সংস্থাগুলি সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করেছে এবং অবৈধভাবে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে। ক্ষুদ্র লগ্নিকারীদের থেকে অনেক রিটার্ন দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সাহারা অর্থ তুলেছিল বলে অভিযোগ। এদিকে সাহারা জানায়, লক্ষ লক্ষ ভারতীয় ব্যাঙ্কিং পরিষেবার বাইরে ছিলেন, তাঁদের বিনিয়োগের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। সেবি লগ্নিকারীদের ট্র্যাক করতে পারেনি। সাহারা টাকা ফেরত না দিতে পারায় ২০১৪ সালে সংস্থার কর্ণধার সুব্রত রায়কে জেলে পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। দু’বছর জেলে থাকার পর প্যারালে জেল থেকে বেরোন তিনি।

এখন আদালতে সেবি জানিয়েছে, এ পর্যন্ত মাত্র ১৫ হাজার কোটি টাকা জমা করেছে সাহারা। তাই সমস্ত পাওনা টাকা অবিলম্বে না মেটালে সুব্রত রায়ের প্যারোল বাতিল করা উচিত। তবে সেবির আবেদনে সিদ্ধান্ত নেয়নি শীর্ষ আদালত। 

অন্যদিকে সেবি অন্যায় দাবি করছে বলে অভিযোগ করেছে সাহারা গ্রুপ। বৃহস্পতিবার সংস্থা বিবৃতিতে বলে তাদের হেনস্থা করতে সেবি ইচ্ছাকৃত ১৫ শতাংশ অতিরিক্ত সুদ চাপিয়েছে। সাহারার দাবি, বিনিয়োগকারীদের আগেই পাওনা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও টাকা চাওয়া হচ্ছে।

Comments are closed.