সৌর বিদ্যুৎচালিত নয়া জল পরিশোধক যন্ত্র বানাল মহারাষ্ট্রের কৃষি গবেষণা কেন্দ্র।

গ্রামীণ এলাকার কথা মাথায় রেখে সৌরশক্তি চালিত এক বিশেষ জল পরিশোধক যন্ত্র বানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের নিম্বকার এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইন্সটিটিউট নামে এক গবেষণা সংস্থা। গবেষকদের দাবি, তাঁদের তৈরি এই জল পরিশোধক যন্ত্রটি বিদ্যুৎ ছাড়াই শুধুমাত্র সৌরশক্তির সাহায্যেই কাজ করতে সক্ষম। এই জল পরিশোধক যন্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে, সোলার ওয়াটার পিউরিফায়ার। কীভাবে কাজ করবে এই জল পরিশোধন যন্ত্রটি, তাও জানিয়েছেন গবেষকরা।
প্রথমে চার স্তর বিশিষ্ট একটি সুতির কাপরের মাধ্যমে ছাঁকা হবে জলকে। তারপর ওই জল এই সোলার ওয়াটার পিউরিফায়ারে ঢালা হবে। এই যন্ত্রে থাকছে চারটি টিউবিউলার সোলার ওয়াটার হিটার। এরপর সৌরশক্তির মাধ্যমে এই ওয়াটার হিটারগুলির সাহায্যে জল ফুটতে আরম্ভ করবে। নির্দিষ্ট সময় পর পরিশুদ্ধ জল পাওয়া যাবে। প্রায় ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই যন্ত্রে ফুটবে জল। পরিশুদ্ধ হতে সময় লাগবে ১৫ মিনিট। উদ্ভাবকদের দাবি, এই পরিশোধক যন্ত্রের মাধ্যমে রোজ ৩০ লিটার জল শোধন করা সম্ভব। নিম্বকার এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ক্যাম্পাসেও এরকম দুটি জল পরিশোধক যন্ত্র বসানো হয়েছে। যন্ত্রটির দাম আপাতত ঠিক হয়েছে আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা। তবে বেশি মাত্রায় বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হলে দাম আরও একটু কমতে পারে। উদ্ভাবকদের দাবি, এটির কার্য প্রণালী এত সহজ যে, যে কেউ সহজেই এই যন্ত্রটি ব্যবহার করতে পারবেন। মূলত গ্রামীণ অর্থনীতি এবং সেখানে প্রচলিত বিদ্যুৎ শক্তির অপ্রতুলতার কথা মাথায় রেখেই এই জল পরিশোধক যন্ত্রটি বানানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর গোটা বিশ্বে ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান সাত লক্ষেরও বেশি মানুষ। যার মধ্যে অধিকাংশই শিশু। মূলত অশুদ্ধ জলে থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকারক ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া (কলিফর্ম), প্রোটোজোয়াই এর জন্য দায়ী। তাই বিশুদ্ধ জল বা জল ফুটিয়ে খাওয়া একান্তই জরুরি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.