TMC পার্টি অফিস থেকে হাতুড়ি হাতে বেরোলেন সেলিম! ব্যাপার কী?

সাদা পাঞ্জাবি, পাজামা, মাথায় সাদা টুপি। প্রচারের ফাঁকে চণ্ডীতলার সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম সটান ঢুকে পড়লেন তৃণমূলের নির্বাচনী কার্যালয়ে। একটি হাতুড়ি নিয়ে বেরিয়ে এলেন। সঙ্গে বিরোধীদের বুদ্ধিদীপ্ত টিপ্পনি, তৃণমূল করলেও ‘হাতুড়ি’ তাদের কাজে লাগে। একুশের নির্বাচনে প্রতিপক্ষ সিপিএম প্রার্থীর মুখে এই মন্তব্য শুনে কার্যলয়ে বসা তৃণমূল কর্মীদেরও মুখে হাঁসি। মজার ছলেই দুঁদে রাজনীতিবিদ কাস্তে হাতুড়ি তারা চিহ্নের গুরুত্ব বোঝাতে চাইলেন। অনেকের মতে,  তৃণমূল, বিজেপি দলমত নির্বিশেষে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের পাশে যে বামেরা সবসময় রয়েছে, ভোটের বাজারে তা আরেকবার কৌশলে বুঝিয়ে দিলেন সেলিম।     

কটাক্ষ মেশানো বক্তব্যে বিরোধীদের আক্রমণ করার ক্ষেত্রে প্রাক্তন সিপিএম  সাংসদের জুড়ি মেলা ভার। একুশের নির্বাচনে তিনিই বামেদের মুখ। সংযুক্ত মোর্চার সমর্থনে হুগলির চণ্ডীতলা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়বেন মহম্মদ সেলিম । তাঁর বিপরীতে বিজেপির তারকা প্রার্থী যশ দাসগুপ্ত। তৃণমূল এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে স্বাতী খন্দকারকে। 

আর ঠিক দু’দিন পরে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট। প্রচারে প্রার্থীদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি চৈত্রের তীব্র উত্তাপকে তুড়ি মেরে দিনে তিনটে করে জনসভা করছেন। পিছিয়ে নেই  বিজেপিও। ঘনঘন প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রের হেভিওয়েট নেতারা রাজ্য সফরে আসছেন। 

[আরও পড়ুন- পা দেখাতে হলে বারমুডা পরতে পারেন! মমতাকে নিয়ে দিলীপের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়]

অন্যরকম প্রচার করে নজর কাড়ছে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত প্রার্থীরাও। তৃণমূল, বিজেপির মত বড় বড় জনসভা করছেন না তাঁরা। ছোট ছোট মিটিং মিছিল করে, মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে জনসংযোগ করছেন জোট প্রার্থীরা। এদিন তেমনই এক প্রচারের মুহূর্তে নেট মাধ্যমে পোস্ট করলেন চন্ডীতলার  সিপিএম প্রার্থী। যা ইতিমধ্যেই নেট নাগরিকদের নজর কেড়েছে। কোনও কোনও বাম সমর্থক অতি উৎসাহে তো কমেন্ট বক্সে লিখে ফেলেছেন, বিকল্পের একটাই, কাস্তে হাতুড়ি তারা।   

         

Comments are closed.