২০১৪ সালের পুনরাবৃত্তি হবে না ২০১৯-এ, বিজেপির সঙ্গ ত্যাগের স্পষ্ট ইঙ্গিত শিবসেনার।

অমিত শাহের চেষ্টাতেও গলল না বরফ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে আর কোনও রকম জোটের রাস্তায় যাবে না দল বলে দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’য় স্পষ্ট জানাল শিবসেনা। দলের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সামনা’র সম্পদকীয় বিভাগে মঙ্গলবার একটি বিশেষ লেখা প্রকাশ করেছে শিবসেনা। সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে যে রাজনৈতিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তার পুনরাবৃত্তি ২০১৯ সালে ঘটবে না। শিবসেনার তরফে যে এরকম কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে চলেছে তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। বিপদ বুঝে বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ৬ জুন নিজে মুম্বইয়ের মাতুশ্রী’তে গিয়ে দেখা করেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভিজল না।

এদিন সামনা’র সম্পাদকীয় লেখাটিতে বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী’কে একাধিক কটাক্ষে বিদ্ধ করেছে শিবসেনা। লিখেছে, ‘কষ্টে আছে দেশ। ধুলো ঝড় শুধু দিল্লি’তে হয়নি, গোটা দেশে সেই ঝড় বইছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যেহেতু বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরে থাকেন তাই তাঁর চোখে কিছু পড়ে না।’ শিবসেনার প্রশ্ন, ‘দেশে কী জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে? সেনা জওয়ানদের খুন করা হচ্ছে অথচ কেন্দ্র নিরুত্তাপ।’ ২০১৬ নাগরিকত্ব বিলের সংশোধনী প্রস্তাব নিয়েও মুখ খুলেছে শিবসেনা। বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশ থেকে সংখ্যালঘুদের এদেশে এসে বসবাসের এবং নাগরিকত্ব নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এই বিদেশি অনুপ্রবেশের জন্য যে আজ অসমের নিজস্ব ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছে শিবসেনা।

আগামী মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে একক শক্তিতে শিবসেনা রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বলে এদিন হুঙ্কার ছেড়েছে উদ্ধব ঠাকরের দল। সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে,’শিবসেনার চলার পথ কোনও দিনই মসৃণ ছিল না। আজও নেই। কিন্তু যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে পরের বিধানসভা নির্বাচনে একক শক্তিতে মহারাষ্ট্র দখল করবে শিবসেনা। ২০১৯ সাধারণ নির্বাচনেও কিং মেকারের ভূমিকা পালন করবে দল।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.