সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় ওমরের বোন দাবি করেছেন, ভাইয়ের এই বন্দিদশা সংবিধানের দেওয়া বাক্ স্বাধীনতার অধিকারকে খর্ব করেছে এবং এটা বিরোধী রাজনৈতিক দলের মুখ বন্ধ করে দেওয়ারই নামান্তর।
গত ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর সিআরপিসি-র ১০৭ ধারায় ওমর আবদুল্লাকে আটক করা হয়। এই আইনে ৬ মাস বন্দি করে রাখা যায় কাউকে। আবদুল্লার ক্ষেত্রে এই মেয়াদ গত ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে। এরপরেই তাঁকে জন নিরাপত্তা আইনে বন্দি করা হয়। যার ফলে ওমর আবদুল্লা ও জম্মু কাশ্মীরের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে আরও তিন মাসের জন্য আটক রাখা যাবে।
সারার অভিযোগ, গত সাত মাস ধরে জম্মু-কাশ্মীরের নেতাদের ইচ্ছাকৃতভাবে বন্দি করে রাখা হচ্ছে। তাঁর আরও অভিযোগ, ঠিক কিসের ভিত্তিতে ওমর আবদুল্লাকে বন্দি করা হল তা লিখিতভাবে জানানোই হয়নি।
এদিকে কাশ্মীরে যে এখনও ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা বেশ জনপ্রিয়, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে প্রশাসন। রবিবার এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রশাসন জানিয়েছে, জঙ্গিরা ভোট বয়কট করলেও মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁর দলকেই ভোট দেয়। এর জন্যই ‘জনপ্রিয়’ ওমর আবদুল্লাকে জন নিরাপত্তা আইনে (পিএসএ) জেলে থাকতে হবে। তিনি ছাড়া পেলে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভকে সংগঠিত করতে পারেন।
পিএসএ প্রয়োগ করা হয়েছে আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির বিরুদ্ধেও। প্রশাসনের জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিনি নানা সময়ে রাষ্ট্র বিরোধী কথা বলেছেন। এ ছাড়া নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত ই ইসলামি-র সঙ্গেও মুফতির যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গত ৫ অগাস্ট কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পরেই তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে আটক করে রাখা হয়। আটক তৃতীয় রাজনীতিক হলেন ওমরের বাবা ফারুক আবদুল্লা। তাঁর বিরুদ্ধেই প্রথম পিএসএ আনা হয়। এই আইন অনুযায়ী কাউকে বিনা বিচারে তিন মাস পর্যন্ত আটকে রাখা যায়। যেসব অভিযোগের ভিত্তিতে ওমর আবদুল্লাকে জন নিরাপত্তা আইনে বন্দি করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন বলে সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া পিটিশনে দাবি করেছেন বোন সারা আবদুল্লা পাইলট।