নির্বাচন কমিশনকে আদালতের সমালোচনা ছেলেকে বাবার বকার মতোঃ সুব্রত মুখোপাধ্যায়

পঞ্চায়েত ভোট কি আদৌ ১৪ মে হবে? এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই বৃহস্পতিবার ফের শুনানি কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার দীর্ঘ শুনানির পরই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে জটিলতা কাটেনি। ই-মেল করে সিপিমএমের পাঠানো মনোনয়ন জমা নিতে হবে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যদিও এই নির্দেশের বিরুদ্ধে বুধবারই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই মামলার ওপর সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শুরু হলে, ফের অনিশ্চিত হয়ে পড়বে পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যৎ। অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চেও ঝুলে রয়েছে ভোটের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলা। সব মিলে পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যৎ এখন বিশ বাঁও জলে।
আদালতে ভোটের প্রক্রিয়া আটকে থাকলেও তাকে গুরুত্বই দিচ্ছে না শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি বিরোধীরা পঞ্চায়েত ভোটের সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে কখনও আদালতে, কখনও রাস্তায়।
বিরোধীদের এই অভিযোগ এবং আদালতের জটিলতা নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

প্রশ্নঃ সরকার এমনভাবে ভোট করতে চাইছে, আদালতে গিয়ে বারবার মুখ পুড়ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের…

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ঃ মুখ পোড়ার কী আছে? হাইকোর্টের এক্তিয়ার আছে সমালোচনা করার। করছে। তাতে কী করা যাবে। এটা অনেকটা বাবার ছেলেকে শাসন করার মতো। ছেলেকে অনেক সময়ই বাবা বকাঝকা দেয়। তাতে কী আছে। আদালত বকা দেবে, সেই এক্তিয়ার তার আছে। কমিশন তার মতো কাজ করবে। আসল তো পঞ্চায়েত ভোটটা হওয়া।

প্রশ্নঃ পঞ্চায়েত ভোট কি ১৪ মে আদৌ হবে?

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ঃ আমার ধারণা ১৪ তারিখই হবে। না হওয়ার কোনও কারণ নেই। মাঠে তো বিরোধীরা নেই। তাই এত আদালতে ঝামেলা।

প্রশ্নঃ বিরোধীরা তো অভিযোগ করছে, আপনাদের জন্যই তারা মাঠে নেই…

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ঃ না না। তা কেন হবে। বিরোধীদের একটা লোকও নেই গ্রামে প্রচার করার মতো। সেই জন্যই তো ওরা নানান ছুতোয় আদালতে যাচ্ছে। আদালতের বাইরে মিডিয়া থাকে। গ্রামে-গ্রামে না ঘুরেই প্রচারটা হয়ে যায়। মাঠে প্রচার করার লোক নেই বলে প্রচার পেতে আদালতে যাচ্ছে। কী আর করা যাবে! এই তো আমি বাঁকুড়ায় প্রচার করছি, একজন বিরোধীকেও তো দেখতে পাচ্ছি না।

Leave A Reply

Your email address will not be published.