এভাবে শিশু মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না, বিহার ও কেন্দ্রীয় সরকারকে ভর্ৎসনা করে রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট

‘এভাবে শিশু মৃত্যু কোনওভাবেই কাম্য নয়’, বিহারে এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় ও বিহার সরকার। এই ঘটনা নিয়ে সাত দিনের মধ্যে সরকারের জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট।
আইনজীবী মনোহর প্রতাপ ও সনপ্রীত সিংহ আজমানি এক জনস্বার্থ মামলায় দাবি করেন, গত এক সপ্তাহ ধরে ১২৬ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়। যার মধ্যে বেশিরভাগেরই বয়স এক থেকে ১০ বছরের মধ্যে। এই পুরো ঘটনায় বিহার ও উত্তর প্রদেশ সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন পিটিশনকারীরা। সংশ্লিষ্ট মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার অবকাশকালীন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, বিহারে এনসেফালাইটিসে মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগজনক। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, যেভাবে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে তা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। কেন্দ্রীয় সরকার ও বিহার সরকার মৃত্যু ঠেকাতে কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সাত দিনের মধ্যে তার প্রতিক্রিয়া চেয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা ১৫০ এর নীচে, আসলে এই সংখ্যা প্রায় ২০০ র কাছাকাছি পৌঁছেছে বলে জানা গিয়েছে।
এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে বিহারে যে হারে মৃত্যু বাড়ছে, তাতে পুরো ঘটনাই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারে গাফিলতি ও নিষ্ক্রিয়তা বলে অভিযোগ করা হয় এই জনস্বার্থ মামলায়। পিটিশনে আবেদন করা হয়েছে, এনসেফেলাইটিসে মৃত্যু হওয়া প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেই সঙ্গে এনফেলাইটিসে আক্রান্তদের জন্য দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিকেল টিম ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থার দাবি জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় অভিযোগ, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে পরিষ্কার, বিহারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল প্রচণ্ড খারাপ। স্থানীয় হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরিষেবা না পেয়ে এনসেফেলাইটিসে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এই পরিস্থিতিতে ৫০০ আইসিইউ ও ১০০ অস্থায়ী আইসিইউয়ের ব্যবস্থা করার জন্য এবং বিহারের সব বেসরকারি হাসপাতালকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার আর্জি জানানো হয় সর্বোচ্চ আদালতে।

Comments are closed.