অভিযুক্ত সাংসদ, বিধায়করা কি ভোটে লড়তে পারবেন না? মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণা

আইনসভার সদস্য (রাজ্যের ক্ষেত্রে বিধায়ক, কেন্দ্রের ক্ষেত্রে সাংসদ), যাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের রয়েছে তাঁরা কি ভবিষ্যতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন, নাকি এক মাত্র দোষী সাব্যস্ত হলেই তাঁরা নির্বাচনে লড়ার সুযোগ পাবেন না? এ সংক্রান্ত এক গুরুত্বপূর্ণ মামলার মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, ভারতীয় রাজনীতিকে দুষ্কৃতীমুক্ত করতে একাধিক ব্যক্তি ও সংগঠনের তরফে আবেদন জমা পড়েছে শীর্ষ আদালতে। আবেদনগুলির মূল বক্তব্য হল, রাজনীতিকে স্বচ্ছ এবং দুষ্কৃতীমূলক কাজকর্ম থেকে মুক্ত রাখতে শুধু মাত্র দোষী প্রমাণিত হলেই নয়, আইনসভার কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ থাকলেও তাঁকে আর ভোটে লড়তে দেওয়া যাবে না, এই মর্মে নির্দেশ জারি করুক শীর্ষ আদালত। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করবে শীর্ষ আদালত। দেশের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করবে।
এর আগে এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট রাজনীতির দুষ্কৃতীকরণকে ‘পচন’ বলে মন্তব্য করেছিল। জানিয়েছিল, প্রয়োজনে তারা নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেবে যাতে রাজনৈতিক দলগুলি তাদের প্রার্থীদের কার বিরুদ্ধে কতগুলি ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে, তা ঘোষণা করে। যাতে ভোটাররা আগাম তা জানতে পারেন।
যদিও কেন্দ্রের তরফে এই আবেদনের বিরোধিতা করে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র অভিযোগ থাকলেই, যতক্ষণ না কেউ দোষী প্রমানিত হচ্ছেন, কাউকে ভোটে লড়া থেকে বঞ্চিত করা যায় না। অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপাল কোর্টে জানিয়েছেন, এই আবেদনকে মান্যতা দিলে, দেশের নাগরিকদের ভোট দেওয়ার ও ভোটে লড়ার যে অধিকার রয়েছে তাতে হস্তক্ষেপ করা হবে। কেন্দ্রের তরফে এই যুক্তিও দেওয়া হয়েছে যে, ভোটের আগে অনেক সময় ইচ্ছা করে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। তখন তাহলে কী হবে?

Comments are closed.