স্বামীজিকে ঘিরে টানাপোড়েনে TMC-BJP, CPM মনে করাল শিকাগো বক্তৃতার নির্যাস

ভোটমুখী বাংলায় বিবেকানন্দ স্মরণে TMC-BJP

শিয়রে বিধানসভা ভোট। তাই জনসংযোগের কোনও সুযোগ হাতছাড়া করছে না রাজনৈতিক দলগুলো। স্বামীজির জন্মদিনেও তার ব্যতিক্রম হল না। 

১২ জানুয়ারি স্বামীজির বাড়ি চলে গিয়েছিল কার্যত রাজনীতিবিদের দখলে। সাত সকালেই বিবেকানন্দকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী। সিমলা স্ট্রিটে স্বামীজির বাড়িতে এসে মাল্যদান করেন বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বিবেকানন্দকে শ্রদ্ধা জানান উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। 

শ্যামবাজার থেকে সিমলা স্ট্রিটের বিবেকানন্দের বাড়ি পর্যন্ত মিছিল করে গেরুয়া শিবির। এখানেই শেষ নয়, দিল্লি থেকে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, স্বামীজির মতবাদ স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেরণা। 

পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। বিজেপির পাল্টা দক্ষিণ কলকাতার গোলপার্ক থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করেন অভিষেক ব্যানার্জি। বিবেকানন্দের মূর্তিতে মাল্যদান করেন সুদীপ ব্যানার্জি, শশী পাঁজা প্রমুখ।

 

বিজেপি-তৃণমূল যখন বিবেকানন্দকে নিয়ে রাজনীতির লড়াইয়ে ব্যস্ত তখন স্বামীজিকে স্মরণ করলেন সিপিএম নেতারাও। তবে সিমলা স্ট্রিট বা গোলপার্ক, কোনও জায়গাতেই দেখা মেলেনি বামপন্থীদের। মিছিল বা মাল্যদানেও দেখা যায়নি কোনও বাম নেতাকে। তার বদলে সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম আজ নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন ১৮৯৩ সালে আমেরিকার শিকাগোতে ধর্ম মহাসভায় দেওয়া বক্তৃতার একটি অংশ। বিবেকানন্দ সেদিন বলেছিলেন, আমি গর্বিত কারণ আমি এমন একটি ধর্মের প্রতিনিধি যাঁরা বিশ্বকে ক্ষমা ও গ্রহণ করতে শিখিয়েছে। আমি গর্বিত কারণ আমি এমন একটি দেশের বাসিন্দা যেখানে সব ধর্মের অত্যাচারিত এবং বিশ্বের শরণার্থীরা অকাতরে আশ্রয় পান। 

সব মিলিয়ে ভোটের আবহে যখন তৃণমূল-বিজেপি বিবেকানন্দকে নিয়ে মেতেছে তখন স্বামীজির তাৎপর্যপূর্ণ বাণী পোস্ট করে আলাদা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করল সিপিএম।

Comments are closed.