লেট হওয়ার জন্য দিল্লি-লখনউ তেজস এক্সপ্রেসের যাত্রীদের ১.৬২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে আইআরসিটিসি

গত ৬ ই অক্টোবর থেকে দেশের প্রথম বেসরকারি ট্রেন হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে দিল্লি-লখনউ তেজস এক্সপ্রেস। কিন্তু নয়া সফরের দু’সপ্তাহের মধ্যে প্রথম ‘ছন্দপতন’। দেরিতে যাত্রা শুরুর জন্য ৮৫০ জন যাত্রীকে মোট ১ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন (আইআরসিটিসি), যা ভারতীয় রেলের ইতিহাসে এই প্রথম।
নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, লখনউ স্টেশন থেকে থেকে সকাল ৬ টা বেজে ১০ মিনিটে লখনউ-দিল্লি তেজস এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরুর কথা। কিন্তু গত ১৯ শে অক্টোবর সকাল ৯ টা বেজে ৫৫ মিনিটে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয় লখনউ-দিল্লি তেজস এক্সপ্রেস। নিউ দিল্লি স্টেশনে দুপুর ১২ টা ২৫ মিনিটে ঢোকার জায়গায় পৌঁছয় বিকেল ৩ টে বেজে ৪০ মিনিট। পাশাপাশি, নিউ দিল্লি স্টেশন থেকে বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে যাত্রা শুরুর জায়গায় সেদিন বিকেল সাড়ে ৫ টায় স্টেশন ছাড়ে এক্সপ্রেস ট্রেনটি। এই দেরির জন্য যাত্রীদের মোট ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে আইআরসিটিসি। বিমা সংস্থার মাধ্যামে মোট ৮৫০ জন যাত্রীকে এই ক্ষতিপূরণ দেবে তারা।
আইআরসিটিসি নির্ধারিত পলিসি অনুযায়ী, তেজস এক্সপ্রেস ১ ঘন্টা দেরি করলে প্রত্যেক যাত্রী পাবেন ১০০ টাকা। ২ ঘন্টার বেশি বিলম্ব হলে যাত্রী প্রতি ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ২৫০ টাকা। সেই অনুযায়ী, ১৮ ই অক্টোবর লখনউ থেকে ওঠা ৪৫০ জন যাত্রীকে ২৫০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ, ৪৫০ জন যাত্রীকে ক্ষতিপূরণ দিতে আইআরসিটিসির খরচ হবে ১ লক্ষ ১২ হাজার ৫০০ টাকা। পাশাপাশি, দিল্লি থেকে লখনউ যাওয়ার পথেও ১ ঘন্টার বেশি দেরি হয় তেজসের। তাই দিল্লি থেকে ওঠা ৫০০ জন যাত্রী ১০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাবেন। সব মিলিয়ে আইআরসিটিসির খরচ হচ্ছে ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা।
২০ শে অক্টোবর নির্ধারিত সময়ের থেকে ২৪ মিনিট দেরি করেছে লখনউ-দিল্লি তেজস এক্সপ্রেস। যদিও লখনউয়ে নির্ধারিত সময়েই পৌঁছে যায় দিল্লি-লখনউ তেজস এক্সপ্রেস।

Comments are closed.