ট্রেন লেট করলেই ফেরত টাকা, বাড়তি জলখাবার, ‘প্রাইভেট’ তেজস এক্সপ্রেস নিয়ে বেনজির পরিকল্পনা আইআরসিটিসির

ট্রেন লেট হলেই এবার টিকিটের টাকার অংশ ফেরত দেবে আইআরসিটিসি। থাকবে বাড়তি জলখাবারের ব্যবস্থা। দেশের প্রথম প্রাইভেট ট্রেন দিল্লি-লখনউ তেজস এক্সপ্রেসকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এমনই কিছু বেনজির উদ্যোগ নিতে চলেছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন। ট্রেনের কামরায় জায়গা বাড়াতে কমানো হচ্ছে শৌচাগারের সংখ্যাও।

দেশের প্রথম বেসরকারি ট্রেন দিল্লি-লখনউ তেজস এক্সপ্রেসে যাত্রীদের যথাযথ পরিষেবা দেওয়াই লক্ষ্য আইআরসিটিসির। লক্ষ্যপূরণে একগুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চলেছে আইআরসিটিসি। সূত্রের খবর, দিল্লি-লখনউ তেজস এক্সপ্রেস ১ ঘন্টার বেশি সময় দেরিতে চললে, ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ পাবেন যাত্রীরা। অন্যথায়, পরবর্তী ট্রেন যাত্রার জন্য ছাড় পাবেন তাঁরা।
মোদী সরকারের ট্রেনের বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তের পর প্রথম বেসরকারি ট্রেন হিসেবে যে দুটি ট্রেন চলবে তার মধ্যে একটি হল, দিল্লি-লখনউ তেজস এক্সপ্রেস, আর একটি হল মুম্বই- আহমেদাবাদ তেজস এক্সপ্রেস। এর মধ্যে প্রথম বেসরকারি ট্রেন হিসেবে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে যাত্রা শুরু করছে দিল্লি-লখনউ তেজস এক্সপ্রেস। সূত্রের খবর, তেজস পরিকল্পনা সফল হলে ধাপে ধাপে আরও ১০০ টি ট্রেনের বেসরকারিকরণের পথে যাবে মোদী সরকার। তাই যাত্রী পরিষেবায় কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছে না আইআরসিটিসি। শোনা যাচ্ছে, স্টেশনে পৌঁছতে ১ ঘন্টার বেশি বিলম্ব হলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা রয়েছে আইআরসিটিসির। যেমন, দিল্লি-লখনউ তেজস এক্সপ্রেসের যাত্রদের জন্য অতিরিক্ত ‘মিল’ এর বন্দোবস্ত করার কথা ভাবা হচ্ছে। আইআরসিটিসির এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলেও, তেজস এক্সপ্রেস দিল্লি ও লখনউ স্টেশনে পৌঁছনোর আগে যাত্রীদের স্ন্যাক্স দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। তাছাড়া, সংশ্লিষ্ট ট্রেনে থাকছে চা ও কফি ভেন্ডিং মেশিন। যাতে ইচ্ছামতো গলা ভিজিয়ে নিতে পারবেন যাত্রীরা।
দিল্লি-লখনউ তেজস এক্সপ্রেসের শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে অনেকটা বিমানের স্টাইলে। আইআরসিটিসির ওই আধিকারিকের কথায়, বিমানে ১৫০ জন যাত্রীর জন্য সাধারণত ৩ টি শৌচাগারের বন্দোবস্ত থাকে। সেইভাবে, তেজসের প্রত্যেক কোচে ২ টি করে আধুনিক শৌচাগার থাকবে। এতে ট্রেনের জায়গা যেমন বাড়বে তেমনি পরিষ্কারের খরচও বাঁচবে বলে মনে করছে আইআরসিটিসি কর্তৃপক্ষ। ১৩ কোচের তেজস এক্সপ্রেসে আরও ৫ টি নতুন কোচ লাগানো হচ্ছে। তাতে ১ হাজার থেকে আসন সংখ্যা বেড়ে হবে দেড় হাজার। এছাড়া, যাত্রী স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে আরামদায়ক আসন, রিডিং লাইট, স্লাইডিং দরজা, কোয়ালিটি ক্যাটারিং, মিটিংয়ের জন্য বিশেষ বোর্ড রুম, মডুলার বায়ো-টয়লেট ইত্যাদি অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকবে দেশের প্রথম বেসরকারি ট্রেন, দিল্লি-লখনউ তেজস এক্সপ্রেসে। ট্রেনের ভাড়ার কথা এখনও পর্যন্ত জানা না গেলেও, শোনা যাচ্ছে বিমানের মতোই টিকিট ভাড়া হবে দিল্লি-লখনউ তেজস এক্সপ্রেসের।

Comments are closed.