রাজ্যপাল, ফেক নিউজ, কেন্দ্রীয় দল, এসব করে ’২১ এর ভোটে বাজিমাত করা যাবে না, বিজেপি, ধনখড়কে আক্রমণ তৃণমূলের

করোনা মোকাবিলা থেকে শুরু করে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য স্পেশাল ট্রেন ঘিরে বিতর্ক, কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের সুর আরও চড়াল তৃণমূল। লকডাউন পর্বে প্রায় প্রতিদিনই ওয়েবিনারে ইস্যু ধরে ধরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন তৃণমূল নেতারা, বাদ যাচ্ছেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। শনিবারও ব্যতিক্রম হল না।
করোনা মোকাবিলায় পথ হারিয়ে দিশেহারা মোদী সরকার টার্গেট করেছে মমতা ব্যানার্জিকে। গোটা বিশ্ব যখন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছে, তখন ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে বাংলায় ভোট প্রচার করছে বিজেপি। রাজ্যপাল হিসেবে জগদীপ ধনখড়কে পাঠানো থেকে শুরু করে ফেক নিউজ ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা, কিংবা কেন্দ্রীয় দল পাঠানো, সবই বিজেপির বাংলা দখলের নীল নকশার অংশ। এই ভাষাতেই বিজেপিকে আক্রমণ শানালো তৃণমূল। এদিন হাজির ছিলেন দুই সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষদস্তিদার এবং রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি।
শুরুতেই ডেরেক দাবি করেন, অমিত শাহের পাঠানো চিঠি মিথ্যেয় ভরা। পরিযায়ী শ্রমিকদের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফেরাতে বাংলা দায়বদ্ধ। মমতা ব্যানার্জি ২৭ এপ্রিলই তা সাফ করে দিয়েছেন। তিনি জানান, ২ টি ট্রেন রাজ্যে চলে এসেছে। আরও 8 টি ট্রেন আসবে। মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জির অভিযোগ, বিজেপির ঘৃণ্য রাজনীতির শিকার হচ্ছে বাংলা। তাঁর আরও অভিযোগ, কেন্দ্রের পরিকল্পনাহীন লকডাউনের কারণেই পরিযায়ী শ্রমিকদের এই দুর্ভোগ। কেন্দ্রের করোনা মোকাবিলার ছকে পরিকল্পনার অভাব স্পষ্ট। কাকলি ঘোষদস্তিদারের অভিযোগ, যে সময় করোনা মোকাবিলার পরিকল্পনা করা উচিত ছিল, সেই সময় মোদীজি ব্যস্ত ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে কন্ডাক্টেড ট্যুরে। এখন জল মাথার উপর দিয়ে বইছে। তাই দিশেহারা হয়ে আবোল তাবোল বকছেন দিল্লির নেতারা। কাকলির পর্যবেক্ষণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আহমেদাবাদ, আগ্রা ও দিল্লিতে গিয়েছেন, যেখানে বর্তমানে করোনাভাইরাস তাণ্ডব চালাচ্ছে।
আওরঙ্গাবাদে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্ঘটনার দায় রেলমন্ত্রীর। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেলমন্ত্রীকে চিঠি না পাঠিয়ে বাংলায় চিঠি পাঠাচ্ছেন, বলেও এদিন প্রশ্ন তোলেন রাজীব ব্যানার্জি।
এদিন রাজ্যপালকেও কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, রাজ্যপাল পদের অমর্যাদা করছেন জগদীপ ধনখড়। বিজেপির অ্যাজেন্ডাকে রাজ্যে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই তাঁর প্রধান কাজ বলেও ধনখড়কে কটাক্ষ কাকলির। লকডাউনের সময় যখন বাড়ি থেকে বেরোনোর উপায় নেই, এই সময় বরং সংবিধানটা পড়ে ফেলুন। রাজ্যপালকে পরামর্শ তৃণমূল সাংসদের।

এদিন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরীকেও আক্রমণ করেন রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি। তাঁর কটাক্ষ অধীরবাবু ঘোলা জলে মাঠ ধরতে নেমেছেন।

Comments are closed.