সিঙ্গুর থেকেও দাঁড়াতে চেয়েছিলাম, মাস্টারমশাই রাজি হলেন না

বুধবার গোঘাট ও সিঙ্গুরে জনসভা করেন মমতা ব্যানার্জি

আপনারা কি জানেন গত বছর আমার ইচ্ছে ছিল আমি সিঙ্গুরে দাঁড়াব। তাঁর কারণ এটা আন্দোলনের জায়গা। আমি বেচাকে বললাম বেচা একটু মাস্টারমশাইকে বোঝা না… যদি মাস্টারমশাই এখান থেকে না দাঁড়িয়ে অন্য কোথাও দাঁড়ালে তাহলে আমি সুঙ্গুর থেকে দাঁড়াতে পারি। বেচা বলল মাস্টারমশাই শুনবেন না। আমি বললাম ঠিক আছে ভাই, নো প্রবলেম।
নন্দীগ্রামের প্রার্থী গত বছরই সিঙ্গুরে ভোট লড়তে চেয়েছিলেন। সিঙ্গুরের জনসভায় জানালেন মমতা ব্যানার্জি। পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন, সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের জন্য এখনও তাঁর শ্রদ্ধা অটুট।
বুধবার গোঘাট ও সিঙ্গুরে জনসভা করেন মমতা ব্যানার্জি। আর সেখানেই উঠে আসে প্রার্থী-প্রসঙ্গ।
প্রথমেই মমতা ব্যানার্জি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, আমি ভেবে পাই না মাস্টারমশাই কীকরে বিজেপির হয়ে দাঁড়ান! তারপর মমতা বলেন, আমি নিজে ওঁকে বলেছিলাম, মাস্টারমশাই আপনি আমাদের সকলের বড় তাই আপনি আমাদের পরামর্শ, উপদেশ দিন। আপনাকে কোনও একটি কমিটির চেয়ারম্যান করে দেব। সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। আগামী ৫ বছরের জন্য বেচারাম মান্নাকে এখানে কাজ করতে দিন। রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য টিকিট পাননি। সেই অসন্তোষে ৮৯ বছর বয়সে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই। বিজেপি অবশ্য টিকিট দিয়েছে মাস্টারমশাইকে। ফলে এবার সিঙ্গুরে মুখোমুখি গুরু-শিষ।
মমতা ব্যানার্জি সিঙ্গুরের মঞ্চ থেকে বলেন, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম দুটোই আন্দোলনের মাটি। এবার আমি নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু সিঙ্গুরেও দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। মমতার কথায়, মাস্টারমশাই শুনলেন না, আমারও আর সিঙ্গুরে দাঁড়ানো হল না।
সিঙ্গুরের সভা শেষ করে মমতা ব্যানার্জি আবার নন্দীগ্রামে ফিরে আসেন।

Comments are closed.