চাহিদা-জোগানের সামঞ্জস্য রাখতে ৫০ হাজার অস্থায়ী কর্মী নিচ্ছে অ্যামাজন, শুরু ফুড ডেলিভারিও

করোনা-লকডাউনে বিপর্যস্ত দেশের কর্মসংস্থানের বাজারে সামান্য স্বস্তির খবর শোনাল অ্যামাজন ইন্ডিয়া। জোম্যাটো, স্যুইগি, ওলার মতো সংস্থা যখন কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে তখন বিপুল অনলাইন চাহিদার সঙ্গে জোগানের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে ৫০ হাজার অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করছে অ্যামাজন ইন্ডিয়া।

করোনাভাইরাস রুখতে গত মার্চের শেষে লকডাউন জারি হয়ে যাওয়ায় প্রায় বন্ধ হয়ে যায় অনলাইন ডেলিভারি ব্যবস্থা। লকডাউনের চতুর্থ ধাপে অবশ্য জোন ভিত্তিক নিয়ম শিথিল করে ডেলিভারিতে ছাড় দিয়েছে সরকার। এই সময়ে অনলাইন ডেলিভারির ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই সুযোগ কাজে লাগাতে প্রায় ৫০ হাজার অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করছে অ্যামাজন।

সংস্থার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আমাদের সারা দেশের গ্রাহকদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেব। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রেখেই পরিষেবা প্রদান করা হবে। এই ডেলিভারি নেটওয়ার্ক অটুট রাখতে ৫০ হাজার অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করছি। এর ফলে করোনা পরিস্থিতিতে প্রচুর মানুষের কাজের সুযোগও তৈরি হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, আপাতত বেঙ্গালুরুর নির্বাচিত কিছু পিনকোডে ফুড ডেলিভারির কাজ শুরু করছে এই মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট। আস্তে আস্তে গোটা দেশে এই পরিষেবা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, গ্রাহকের স্বাস্থ্যের কথা খেয়াল রেখে ফ্রি ও কন্ট্যাক্টলেস ডেলিভারির পাশাপাশি ‘অত্যন্ত উচ্চস্তরের আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা’ রেস্তরাঁ-ক্লাউড কিচেনকেই এই পরিষেবায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। চলবে নিয়মিত নজরদারি।

সংস্থার ব্লগে অ্যামাজনের শীর্ষ কর্তা অখিল সাক্সেনা জানিয়েছেন, ‘আমরা সবরকম ভাবে গ্রাহকদের সাহায্য করতে চাই। যাতে তাঁরাও সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলতে পারেন।’

প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল জেফ বেজোসের অ্যামাজন।

Comments are closed.