রূপচর্চায় কতটা কার্যকারী গাজর?

রূপচর্চার ক্ষেত্রে গাজরকে আপনারা কিভাবে ব্যবহার করবেন, তা জেনে নিন।

শীতকালীন সবজির কথা মাথায় এলেই গাজরের নাম উঠে আসে। আমরা সবাই জানি শীতকালে বাজারে প্রচুর পরিমানের পুষ্টিগুণসম্পন্ন সবজির উৎপাদন থাকে। পুষ্টিবিদরা বলে, শীতের সবজিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। সে ক্ষেত্রে গাজরও ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু গাজরের পুষ্টিগুণ শুধুমাত্র স্বাস্থ্য পরিচর্যার জন্য ব্যবহার হয় তা নয়। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ গাজর কিন্তু রূপচর্চার উপাদান হিসেবেও কম নয়। চোখ, দাঁত, ত্বক ও চুলের জন্য যথেষ্ট উপকারী গাজর।

রূপচর্চার ক্ষেত্রে গাজরকে আপনারা কিভাবে ব্যবহার করবেন, কোন পদ্ধতিতে ব্যবহার করলে ফলাফল পেতে পারেন, তা জেনে নিন।

চুলের সমস্যা মেটাতে গাজরের উপকারিতা:

আমরা জানি ভিটামিন ও খনিজ উপাদান আমাদের চুলের গোড়া মজবুত করে। যেহেতু গাজর মাটির নিচের সবজি তাই এতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান থাকে। এছাড়াও গাজরের ভিটামিন এ এবং ই রয়েছে যা মাথার তালুতে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে। সরাসরি চুলে গাজর ব্যবহার না করে গাজরের তেল ব্যবহার করতে পারেন। বানানোও অতি সহজ। গ্রেট করা গাজরে দেড় কাপ জলপাই তেলে মিশিয়ে এক সপ্তাহ ঠান্ডা ও অন্ধকার জায়গায় রেখে দিন। এক সপ্তাহ কেটে গেলে তেল ছেঁকে আলাদা একটি পাত্রে রেখে দিন, এতে করে অনেকদিন ধরেই ব্যবহার করতে পারবেন।

ত্বকের যত্নে গাজরের কামাল:

আবহাওয়ার উপরে অনেক সময় ত্বকের শুষ্কতা নির্ভর করে থাকে। এই শুষ্ক ত্বকের জন্য গাজর আদর্শ। গাজরের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম যা ত্বকের ভেতরে ঢুকে তাকে আদ্র করে তোলে। আপনার ত্বক শুষ্ক হলে গাজর দিয়ে তৈরি ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। একটি গাজর ভালো করে পেস্ট করে তাতে পরিমাণ মতো দুধ এবং মধু মিশিয়ে ফেস মাস্ক তৈরি করুন। সপ্তাহে তিন দিন করলেই হাতেনাতে ফল পাবেন।

Comments are closed.