বাঘারুকে একা রেখে চলে গেলেন দেবেশ রায়, সাহিত্য মহলে শোকের ছায়া

প্রয়াত হলেন দেবেশ রায়। বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। বৃহস্পতিবার বাগুইআটির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় তাঁর। শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বুধবার রাতে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল ওই নার্সিংহোমে।

কলকাতা কেন্দ্রীক বাংলা সাহিত্যে উত্তরবঙ্গের মানুষের কথা বলতেন দেবেশ রায়। পাবনায় জন্ম হলেও দেবেশের ছেলেবেলা কেটেছে জলপাইগুড়িতে। উত্তরবঙ্গের মানুষের কথা তাই বারবার উঠে এসেছে তিস্তাপারের বৃত্তান্ত থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি লেখাতেই। জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র দেবেশ রায় উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতা আসেন। আর এসেই জড়িয়ে পড়েন শ্রমিক আন্দোলনে। শোষিত, নিপীড়িত মানুষের জন্য বারবার কথা বলে উঠেছে জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের এই কৃতী ছাত্রের কলম।

বরিশালের যোগেন মণ্ডল, তিস্তাপুরাণ, যযাতি, সময় অসময়ের বৃত্তান্ত প্রভৃতি লেখায় বারবার ঘুরেফিরে এসেছে গরিবের দুর্দশার কথা। বামপন্থী চেতনার কথা। ১৯৯০ সালে তিস্তাপারের বৃত্তান্ত উপন্যাসের জন্য সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান দেবেশ রায়।

Comments are closed.