পছন্দ রবীন্দ্রসঙ্গীত, ভক্তিগীতি, কলা বিভাগে পড়াশোনা করে উচ্চমাধ্যমিকে অষ্টম বীরভূমের মনোময়, কথা বলল TheBengalStory-র সঙ্গে

উচ্চমাধ্যমিকে অষ্টম হয়েছে বীরভূমের রামপুরহাটের মনোময় কবিরাজ। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র মনোময়ের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১। কলা বিভাগে এই নম্বর সত্যিই আশ্চর্যের। তবে সঠিক পদ্ধতিতে পড়াশোনা আর অধ্যাবসায় সব সম্ভব বলেই মনে করে মনোময়। কীভাবে পড়াশোনা, পড়াশোনা ছাড়া আর ভালো লাগার বিষয় কী কী? এইসব নানা কথা ভাগ করে নিল TheBengalStory-র সঙ্গে।

মাধ্যমিকের পর উচ্চমাধ্যমিকেও জেলার জয়জয়কার। প্রথম দশে আছে ২৭২ জন। এরমধ্যেই নাম আছে মনোময়ের। গোটা বাংলায় অষ্টম হয়েছে সে। এই খবর জানা মাত্র বীরভূমে রামপুরহাটের চাকলামোড়ে মনোময়ের বাড়িতে খুশির হাওয়া। হাজির হয়েছে প্রেস, মিডিয়া। সারদিন ফোনে ব্যাস্ত সে। কিন্তু এরমধ্যেও সে কথা বলল TheBengalStory-র সঙ্গে। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র মনোময় মহারাজদের দেখানো পথেই পুরো পড়াশোনা করেছে। মনে রাখার জন্য একই পড়া বারবার পড়ত সে। কলা বিভাগে বিষয় মনে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করে সে। আর হল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লেখা শেষ করা। তাই কঠোর অনুশীলনের মধ্যেই থাকতে হয়। স্কুলের শিক্ষক ও মহারাজদের পরামর্শে লিখে লিখে প্র্যাকটিস করত মনোময়।

মাধ্যমিকেও পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন থেকে ভালো নম্বর নিয়ে পাশ করেছিল মনোময়। এরপর উচ্চমাধ্যমিকে আরও ভালো ফল করার ইচ্ছা নিয়ে অধ্যাবসা শুরু। স্টাডি আওয়ারের সময় সকাল সন্ধ্যা ও রাতে ২ ঘন্টা করে পড়ত সে। আর সময় পেলে এর ফাঁকেও বই নিয়ে বসে পড়া ছিল মনোময়ের অভ্যাস। ছোট থেকেই পড়াশোনা নেশা মনোময়ের। তবে মাঝে এসে পড়ে করোনা। কিন্তু তাতেও থেমে থাকেনি সে। মিশনের মহারাজরা সব কোভিড প্রটোকল ৭ জন করে ডেকে পরীক্ষার মাধ্যমে অনুশীলন করিয়েছেন বলেই জানিয়েছে মনোময়। পড়াশোনার পাশাপশি গানবাজনাও ভালোবাসে মনোময়। রবীন্দ্রসঙ্গীত, ভক্তিগীতিমূলক গান তাঁর বেশি পছন্দ। ইতিহাস নিয়েই আগামী দিনে পড়াশোনা করতে চায় সে। আর ভবিষ্যতে হতে চায় আরকিউলজিস্ট।

Comments are closed.