তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানালেন দলিত সাহিত্যিক মনোরঞ্জন ব্যাপারী! কী লিখলেন ফেসবুকে?

দেশজুড়ে আজও অবহেলিত দলিত দরিদ্র সমাজের মানুষ। উদ্বাস্ত রিফিউজি মানুষ, রিকশাওয়ালা, জনমজুর, বাবুবাড়ি বাসন মাজা মানুষরা আজও অসহায়। কিন্তু বাংলার একজন মানবিক মুখ্যমন্ত্রী আছেন। এই সমাজের উন্নতিকল্পে তিনি গড়ে দিয়েছেন নমঃশূদ্র বিকাশ পরিষদ, মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদ, এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে সমর্থন করলেন বাঙালি দলিত সাহিত্যিক মনোরঞ্জন ব্যাপারী।

বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একটি পোষ্ট করেছেন তিনি। সেই পোষ্টে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থন করে তিনি লিখেছেন, বাংলায় এই সমাজের উন্নতিকল্পে মুখ্যমন্ত্রী গড়ে দিয়েছেন নমঃশূদ্র বিকাশ পরিষদ, মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদ। গঠন করেছেন দলিত সাহিত্য আকাদেমি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে উৎখাত করার জন্য সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বাঙালি বিরোধী একটা শক্তি। আর তাঁকে নানা কায়দায় সহযোগিতা করছে বাংলার কিছু দালাল বেইমান মীরজাফর।

সামনেই বিধানসভা নির্বাচন, এই নির্বাচনে দলিত সম্প্রদায়কে হাতিয়ার করে যুদ্ধে নেমে পড়েছে সব দল। মতুয়াগড়ে এসে সভা করেছেন অমিত শাহ। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, করোনা টিকা কর্মসূচির পরেই লাগু হবে সিএএ, এনআরসি। অন্যদিকে, মতুয়াদের পাশে থেকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল। সম্প্রতি হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরেই মতুয়া সমাজের পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হচ্ছিল। এই অবস্থায় দলিত সাহিত্যিক মনোরঞ্জন সরাসরি মমতা ব্যানার্জির পাশে এসে জানালেন, অসমে দলিতদের ডিটেনশান ক্যাম্পের অন্ধকার কক্ষে বছর বছর আটকে রেখে পঁচিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। এখানেও সিএএ, এনআরসি আইনের মাধ্যমে এই ভাবে মেরে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে।

শুক্রবার ফেসবুকের মাধ্যমে বাংলার মানুষকে মমতার পাশে দাঁড়ানোর বার্তা নিয়ে এই দলিত সাহিত্যিক জানিয়েছেন, আমি মাননীয় দিদির পাশে। বাংলার স্বার্থে, দলিত দরিদ্র মানুষের স্বার্থে দিদির পাশে দাঁড়ানো আমার সামাজিক দায়িত্ব কর্তব্য বলে মনে করি।

এই প্রসঙ্গে তিনি বিজেপি শাসিত অসম, ত্রিপুরা, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের কথা টেনে এনেছেন। জানিয়েছেন, যেখানে বিজেপির শাসন করছে, সেখানেও বিজেপিকে হারাতে হবে। আমি তো দাঁড়িয়ে পড়েছি, ডাক দিচ্ছি দেশের নানা প্রান্তের মানুষ যাঁরা আমাকে ভালোবাসেন, সব রকম সহায়তা নিয়ে আমার পিছনে এসে দাঁড়ান।

শ্রমিক কৃষক দলিত দরিদ্র, শোষিত, বঞ্চিত মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসার অধিকার নিয়ে মিছিলে হেঁটেছেন মনোরঞ্জন। মঞ্চে মঞ্চে গলা ফাটিয়েছেন। এই কারনেই জেলেও যেতে হয়েছিল তাঁকে। দলিত বঞ্চিত জীবন নিয়ে লেখা বইও আছে মনোরঞ্জনের। কিছু বই ইংরেজি সহ অন্যান্য বহু ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। ভারত সহ বিশ্বের অনেক দেশে এই বইয়ের পাঠক রয়েছে।

Comments are closed.