পিছিয়ে পড়ারা ফিরুক মূল স্রোতে; লক্ষ্য নিয়ে পথচলা শুরু করল ‘সহায়’র নতুন আস্তানা 

১৯৮৯ সালে যাত্রা শুরু। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়ারাও সমাজের মূল স্রোতে ফেরার সুযোগ পাক। সেই লক্ষ্য নিয়েই তৈরি হয় ‘সহায়’। বর্তমানে চাইল্ড স্পনসরশিপের আওতায় প্রায় ১৫ হাজার পড়ুয়ার দায়িত্ব সামলাচ্ছে সংস্থাটি। মঙ্গলবার নারকেলডাঙায় জগন্নাথ দত্ত লেনে উদ্বোধন হয়ে গেল সহায়ের নতুন সেন্টারের। সহায় যাতে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারে, সেই লক্ষ্যেই তৈরি নতুন এই সেন্টার, উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে এমনটাই জানালেন সহায়ের পরিচালন গোষ্ঠীর সদস্যরা। 

শুধু প্রথাগত পড়াশোনাই নয়, তথ্য প্রযুক্তির যুগে একটি পেশাগত জীবনে সফল হতে যা যা প্ৰয়োজন তার সব কিছুই থাকছে সহায়ের এই নতুন ইয়ুথ সেন্টারে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমনটাই জানালেন সহায়ের ডিরেক্টর কীর্তিময়ী মিশ্র। সময়ের চাহিদা মেনে কেরিয়ার সংক্রান্ত পরামর্শ, বেশ কয়েকটি প্রফেশনাল কম্পিউটার কোর্স সহ পড়ুয়ারা একগুচ্ছ পরিষেবা পাবে নারকেলডাঙার সেন্টারটি থেকে। তিন তলা বাড়ির পুরোটা জুড়ে তৈরি হয়েছে ‘ইয়ুথ লাউঞ্চ’, কেরিয়ার কাউন্সিলিং রুম, কম্পিউটার সেন্টার, ট্রেনিং-এর মতো বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় বিভাগ। অর্থাৎ শুধু কম্পিউটার ট্রেনিং বা অন্যান্য ক্লাসও নয়। পড়ুয়ারা যাতে খেলাধুলাও করতে পারেন, তার জন্য ইয়ুথ রিসোর্স সেন্টারের মধ্যেই টেবিল টেনিস, ক্যারাম বা দাবা’ খেলার জন্য একটি পৃথক জায়গা রয়েছে। সব মিলিয়ে একজন পড়ুয়ারা সারাক্ষনেই প্রয়োজনের কথা ভেবেই তৈরি হয়েছে ইয়ুথ রিসোর্স সেন্টারটি। 

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিশিষ্ঠজন, যাঁদের মধ্যে অন্যতম বব দোসী, রিতা দোসী, চিলড্রেন ইন্টারনেশনলের এশিয়া/আফ্রিকা জোনের দায়িত্বে থাকা রামদাস পাই, UNICEF-এর সঙ্গে কাজ করেন সমাজকর্মী সুচরিতা বর্ধন সহ আরও অনেকে। এদিনের অনুষ্ঠানে অতিথিদের তালিকায় ছিলেন চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেন। একজন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়ে সহায়ের সাহায্যে কীভাবে নিজের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন সফল করেছেন, এদিন সেই কথাই শোনান সাজ্জাদ। নতুন এই ইয়ুথ রিসোর্স সেন্টারের মাধ্যমে আরও অনেক পড়ুয়াই উপকৃত হবেন, এমনটাই আশা করছে সহায়ের সদস্য-সদস্যারা। 

          

Comments are closed.