শিক্ষা-সংস্কৃতি বাঁচাতে চাইলে বিডেনের সঙ্গে থাকুন, ১৭৫ বছরের ঐতিহ্য ভেঙে ট্রাম্পের বিরোধিতা সায়েন্টিফিক আমেরিকান ম্যাগাজিনের

১৭৫ বছরের ইতিহাসে বিজ্ঞান সাধনা নিয়েই মগ্ন। রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাতে হয়নি কখনও। কিন্তু নভেম্বরে বিশ্বের সবচেয়ে হাই ভোল্টেজ নির্বাচনের আগে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য ভাঙল মার্কিন মুলুকের সায়েন্টিফিক আমেরিকান ম্যাগাজিন। এই প্রথম ম্যাগাজিনে সওয়াল করা হল একটি নির্দিষ্ট ধারার রাজনীতির পক্ষে। এই প্রথম তার পাঠকদের শিক্ষা-সংস্কৃতির বাঁচানোর স্বার্থে জো বিডেনকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাল সায়েন্টিফিক আমেরিকান।

ট্যুইটে বলা হল, এতদিন রাজনৈতিক ব্যাপার নিয়ে কিছুই বলেনি সায়েন্টিফিক আমেরিকান। কিন্তু ২০২০ সালে আমাদের সবার জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন। আমরা আপনাদের কাছে আর্জি রাখছি, সুস্থাস্থ্য এবং বিজ্ঞানের পক্ষে থাকতে জো বিডেনকে ভোট দিন।

ম্যাগাজিনের এডিটর ইন চিফ লরা হেলমুথ বলছেন, বিজ্ঞান গবেষক কিংবা বিজ্ঞানের প্রতি বিশ্বাস রাখা জনসংখ্যার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে খারাপ আর কিছু হয় না। তিনি বলছেন, সায়েন্টিফিক আমেরিকানের সম্পাদকীয় শাখা ভাবতে পারেনি অধঃপতনের গতি এত দ্রুত হবে।

সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানলের কারণ হিসেবে বিশ্ব উষ্ণায়ণকে মানতে চাননি ট্রাম্প। বলেছিলেন, যা হয় কিছু একটা যুক্তি খাঁড়া করে দেওয়ার অর্থ এই নয় যে তা মেনে নিতে হবে। কাকতালীয় হলেও, ঠিক সেইদিনই ম্যাগাজিনের এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে আসে। হেলমুথ বলছেন, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে গত ২ মাস ধরেই আলোচনা চালাচ্ছিল সম্পাদকীয় শাখা।

সায়েন্টিফিক আমেরিকান এই সংক্রান্ত প্রবন্ধে লিখেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার জনগণের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কারণ তিনি বিজ্ঞান এবং প্রামাণ্যের সত্যতা মানেন না। ট্রাম্পের করোনাভাইরাস অতিমারি মোকাবিলা নিয়েও সমালোচনা করেছে ম্যাগাজিনটি। বিজেন ও ট্রাম্পের মধ্যে তুলনায় সায়েন্টিফিক আমেরিকান লিখেছে, বিডেন অন্তত বিজ্ঞানের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি। গবেষণার প্রয়োজনীয়তা তিনি জানেন বলেই মনে হয়।

প্রবন্ধের শেষে লেখা হয়েছে, প্রতিটি দায়িত্বশীল মানুষের কর্তব্য পাশের মানুষটিকে বোঝানো ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে ধ্বংসাত্মক।

Comments are closed.