কাশ্মীরে লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার, রিপোর্ট রাষ্ট্রসংঘের। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত-অসম্পূর্ণ তথ্য, প্রতিক্রিয়া ভারতের।

কার্যত নজিরবিহীন ঘটনা। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা এবং কাশ্মীরকে সঙ্গে নিয়ে অখণ্ড দেশ গঠিত হওয়ার প্রায় ৭০ বছর পর, রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার রিপোর্টে তুলোধনা করা হল ভারত কে। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার শাখার তরফে জমা দেওয়া ৪৯ পাতার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে লাগাতার মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরে। শুধু তাই নয়, রিপোর্টে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার শাখার প্রধান জেইদ রাদ আল হুসেন দাবি করেছেন, ২০১৬ সাল থেকে জম্মু-কাশ্মীরে যত নাগরিক সংঘর্ষে মারা গিয়েছেন, আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠন করে তার তদন্ত করা হোক। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে হিজবল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যর পর থেকেই জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিকদের উপর আগ্রাসন বাড়িয়েছে সেনাসহ ভারতের নিরাপত্তা এজেন্সিগুলো। লঙ্ঘিত হয়েছে একের পর এক মানবাধিকার। জম্মু-কাশ্মীরে সেনার বিশেষ ক্ষমতা (আফস্পা) নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মুক্তি দিতে বলা হয়েছে রাজনৈতিক বন্দিদের।
এই রিপোর্ট সামনে আসার পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে গোটা রিপোর্টটিকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’, ‘অসম্পূর্ণ তথ্যে ভরা’ বলে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, নিজেদের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষা করার অধিকার ভারতের রয়েছে বলে, প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। পাশাপাশি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তারা যে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে তাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে।
ভারতের পাশাপাশি, পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে এই রিপোর্টে বলা হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.