পরিবেশ এবং সামাজিক পরিকাঠামোর দিক থেকে ভারতীর শিশুরা কতটা নিরাপদ এবং সুরক্ষিত? রাষ্ট্রপুঞ্জের সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, ১৮৩ টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৩১।
একটি দেশে সামাজিক ভাবে শিশুরা কেমন করে বেঁচে থাকে, জন্মের পর পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের মৃত্যুর হার কত, তাদের হিংসার বলি হতে হয় কি না, ভ্রূণ হত্যার হার কেমন, শিশুরা বেড়ে ওঠার সময় থেকে শিক্ষার সুযোগ কতটা পাচ্ছে, শিক্ষা ও খাদ্যের অধিকার তারা কতটা পাচ্ছে, দারিদ্র্যের হার কেমন, এই ধরনের একগুচ্ছ প্রশ্নের উপর সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু), রাষ্ট্রপুঞ্জের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এবং ল্যানসেট পত্রিকা। তারই রিপোর্ট বুধবার প্রকাশিত হয়েছে।
আরও জানতে ক্লিক করুন, অনুর্ধ্ব পাঁচ শিশু মৃত্যুতে শীর্ষে ভারত, আর কী বলেছিল ইউনিসেফের রিপোর্ট?
ওই সমীক্ষার ভিত্তিতে তৈরি হয় ফ্লারিশিং ইনডেক্স (সমৃদ্ধি সূচক)। তাতেই দেখা যাচ্ছে, ভারত অনেক নীচে, ১৩১ তম স্থানে।
পাশাপাশি, সাসটেনেবিলিটি ইনডেক্স, জনপ্রতি বিভিন্ন দেশের কার্বন নিঃসরণের মাত্রাকে মাথায় রেখে যে সমীক্ষা করা হয়েছে, তাতে ভারতের স্থান ৭৭।
এই সমীক্ষায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষায় বিভিন্ন দেশের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের কোনও দেশই বর্তমান শিশু ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্যকরভাবে বেঁচে থাকার জন্য উল্লেখযোগ্য কাজ করে উঠতে পারেনি। কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরবকে সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয়েছে। কার্বন নিঃসরণের হার তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে কম সোমালিয়া, বুরুন্ডিতে।
আরও জানতে ক্লিক করুন, গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে ভারতের স্থান কত?
রিপোর্টে আরও একটি বিশেষ দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। সেটা হল, বিপণন ও বিজ্ঞাপনে শিশুদের ব্যবহার। বিভিন্ন জাঙ্কফুড, নরম পানীয়ের বিজ্ঞাপনে শিশুদের দিয়ে প্রচার অন্যান্য শিশুকে অস্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয়র দিকে উৎসাহিত করে। যার ফলে শিশুদের ওবেসিটি, বেশি ওজন সহ বিভিন্ন অসুখের দিকে ঠেলে দেয় বলে রিপোর্টে প্রকাশ।
শিশু স্বাস্থ্যের জন্য প্রতিটি দেশকেই নতুন নীতি তৈরি ও বিপুল বিনিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের সমীক্ষা রিপোর্টে। শিশুদের স্বাস্থ্য ও অধিকার রক্ষা, পরিবেশের উপর নজর দেওয়া, শিশুদের প্রয়োজনের দিকে নজরা রাখা, ক্ষতিকর বাণিজ্যিক প্রচার বন্ধ করার মতো বিষয়ে জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।