জেলে লেখাপড়ার সুযোগ দেওয়া হোক ভারাভারা রাওকে, মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালকে চিঠি স্ত্রী হেমলতার

ভিমা কোরেগাও এলগার পরিষদ হিংসা মামলায় এখনও জেলবন্দি তেলেগু কবি ভারাভারা রাও। বর্তমানে আরও ৮ অভিযুক্তের সঙ্গে পুণের ওয়েরওয়াড়া জেলে বন্দি কবি তথা সমাজকর্মী ভারাভারা। আশি ছুঁই ছুঁই তেলেগু কবির শারীরিক অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে, বলে সূত্রের খবর। জেল থেকে তাঁকে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের। এমনকী জেলে সামান্য খবরের কাগজও তাঁকে পড়তে দেওয়া হচ্ছে না। এই প্রেক্ষিতে স্বামীর জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধার আর্জি জানিয়ে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালকে চিঠি লিখলেন ভারাভারা রাওয়ের স্ত্রী পি হেমলতা। তাঁর অভিযোগ, কেবলমাত্র সন্দেহের বশে গত ৮ মাসে একটি চিঠিও পৌঁছে দেওয়া হয়নি ভারাভারা রাওয়ের হাতে।

শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের কাছে পি হেমলতা অভিযোগ করেন, বিগত ৬০ বছর ধরে তেলেগু ভাষায় কবিতা লিখছেন ভারাভারা। অথচ জেলে তাঁকে লিখতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী তেলেগু ভাষায় ভারাভারাকে পাঠানো কোনও চিঠি বা বইও জেলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। শেষ ৮ মাস ধরে এই অবস্থাই চলছে বলে জানান হেমলতা।

মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল বিদ্যাসাগর রাওকে লেখা চিঠিতে পি হেমলতা লিখেছেন, আমি সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি পুণের ওয়েরওয়াড়া জেলে বন্দি তেলেগু কবি ভারাভারা রাও সহ ৯ জন আপনাকে একটি চিঠি দিয়েছিল। তারপর একমাস কেটে গিয়েছে, কিন্তু আপনার তরফে চিঠির উত্তর আসেনি। সর্বশেষ একটা আবেদনই জানাতে চাই, দয়া করে জেলে বই, খবরের কাগজ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। ভারাভারা রাওয়ের সঙ্গে দেখা করতে দিন তাঁর আত্মীয়, বন্ধুদের এবং দ্রুত মামলার বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক।

হেমলতার চিঠিকে সমর্থন জানিয়ে তাতে সাক্ষর করেছেন অন্তত ৩১ জন কবি, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, মানবাধিকার কর্মী।

Comments are closed.