ঘূর্ণিঝড় যশের প্রভাবে ৯ জেলায় বন্যা সতর্কতা জারি রাজ্যের

রাজ্যের ৯ টি জেলা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে প্রশাসন

ঘূর্ণিঝড় যশের গতিপথ এখন স্পষ্ট। বুধবার সকালে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে চলেছে। এর জেরেই মঙ্গলবার সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

পারাদ্বীপ ও সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী স্থলে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হবে। তার জেরে রাজ্যের ৯ টি জেলা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে প্রশাসন। সেই আশঙ্কা থেকে মঙ্গলবার ৯ জেলায় বন্যার সতর্কতা জারি করল রাজ্য সরকার।

এর মধ্যে রয়েছে দুই মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, হুগলি, দুই বর্ধমান। যেহেতু এই জেলাগুলি গঙ্গা, কংসাবতী, ময়ূরাক্ষী, অজয় ও দামোদরের পাশে অবস্থিত। তাই স্বাভাবিকভাবেই আশঙ্কা করা হচ্ছে এই নদীগুলিতে জলোচ্ছ্বাস দেখা দিতে পারে। ফলে নদীকূল প্লাবিত হয়ে বন্যার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কলকাতায় গঙ্গার জলস্তর অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, পূর্ণিমার জেরে এমনিতেই জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা ছিল। ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি আরও সঙ্গিন করে তুলেছে। গঙ্গার জলস্তর না নামলে কলকাতায় ভারি বৃষ্টি হলে জল জমে যাবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত।

ইতিমধ্যেই নব্বান্ন থেকে বিভিন্ন জেলাশাসকদের দফতরে সতর্ক করে হয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে বহু মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়ে গেছে। দক্ষিণ ও উত্তর চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন জায়গার মানুষকে ইতিমধ্যেই ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আজ থেকেই উপান্নে তৈরি হওয়া বিশেষ কন্ট্রোল রুম থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। কন্ট্রোল রুম বসে সারারাত ধরে পরিদর্শন করেন ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি।

Comments are closed.