বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল ইতিহাস-সমৃদ্ধ চিত্রশিল্পের সংগ্রহশালাটি, যা খোলার পর সেখানে আসা এক ঐতিহাসিকের বয়ানে রীতিমত চাঞ্চল্য় ছড়ায়। ঘটনাটি খোদ শিল্প-ভাস্কর্যের পীঠস্থান দক্ষিণ ফ্রান্সের এলনে শহরের বিখ্যাত এতিয়েনে তেরাস সংগ্রহশালার। পুরো সংগ্রহশালাটি ঘুরে ওই ঐতিহাসিকের মন্তব্য়, সংগ্রহের ১৪০টি ছবির বেশিরভাগ ছবিই নকল। সংখ্যাটা ৮০র ওপর বলে দাবি তাঁর। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। যদিও নকল ছবি কীভাবে সেখানে এল তা জানা নেই বলে জানিয়েছে সংগ্রহশালা কর্তৃপক্ষ। অবশ্য ঘটনার সত্য়তা স্বীকার করে নিয়েছেন এলনার মেয়র ওয়াইভিস বারনিয়ল।
পৌরসভার তরফ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ এসে নকল চিত্রশিল্পগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। মূলত আঞ্চলিক শিল্পীদের চিত্রকলাকে জনপ্রিয় করতে বিপুল অঙ্কের টাকা ব্য়য় করে বিভিন্ন শিল্পীর কাজ কেনা হচ্ছিল। তা দিয়ে নতুন করে সংগ্রহশালাটি সাজিয়ে তুলতে ইতিমধ্য়েই ব্য়য় হয়েছে আনুমানিক ২ লক্ষ ৬৫ হাজার ইউরো, জানিয়েছেন এলনের মেয়র। ১৮৫৭ থেকে ১৯২২ সালের মধ্যে এলনের বিখ্য়াত চিত্রশিল্পী এতিয়েনের আঁকা জলছবি, তেলছবি কেনা হয়েছিল সংগ্রহশালাটির জন্য়। মূলত সপ্তদশ শতাব্দীতে ফ্রান্সের দক্ষিণের রৌসিলনকে ঘিরেই অসামান্য় ল্য়ান্ডস্কেপ এঁকেছিলেন এতিয়েনে। তাঁরই চিত্রশিল্প নিয়ে এই কেলেঙ্কারি টনক নড়িয়েছে প্রশাসনের। তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই নকল ছবির ব্য়বসার জাল ছড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণ ফ্রান্সের অনেক মিউজিয়ামেই। শুধু এতিয়েনে নয়, নকল ছবির তালিকায় রয়েছে আরও অনেক শিল্পীর ছবিও। বড়সড় কেলেঙ্কারির আঁচ পেয়ে আগেভাগেই অবশ্য দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন মেয়র। কারণ, টিকিট কেটে সংগ্রহশালায় ঢুকে জাল ছবি দেখার পর যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে দর্শকদের সেকথাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।