গণতন্ত্র বিপন্ন, এই অভিযোগ তুলে ফের পদত্যাগ এক আইএএস অফিসারের

গণতন্ত্র বিপন্ন, এই অভিযোগ করে পদত্যাগ করলেন আরও এক আইএএস অফিসার। কিছুদিন আগেই ‘কণ্ঠরোধ’ হওয়ার অভিযোগ এনে কেরলের আইএএস অফিসার কান্নান গোপীনাথন ইস্তফা দিয়েছিলেন। এবার তাঁর পথ ধরেই পদত্যাগ করলেন কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার ডেপুটি কমিশনার এস শশীকান্ত সেন্থিল। শুক্রবার পদত্যাগ করেন আইএএস অফিসার এস শশীকান্ত। আদতে তামিলনাড়ুর বাসিন্দা এই আইএএস অফিসার জানিয়েছেন, গণতন্ত্রে মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে সরকারি আধিকারিক হিসেবে কাজ করা তাঁর অনৈতিক বলে মনে হচ্ছে।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির প্রতিবাদ করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২০০৯ সালের ইউপিএসসিতে তামিলনাড়ুর টপার শশীকান্ত সেন্থিল।
যদিও পদত্যাগ পত্রে শশীকান্ত সেন্থিল জানান, এই সিদ্ধান্ত একান্তই ব্যক্তিগত। নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তি বা ঘটনার সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। এরপরেই ওই আমলা ইস্তফাপত্রে লেখেন, যখন অভূতপূর্বভাবে গণতন্ত্রের বৈচিত্রের সঙ্গে আপোশ করা হচ্ছে, সেই সময় সরকারি আধিকারিক হিসেবে কাজ করা তাঁর পক্ষে অনৈতিক বলে মনে হচ্ছে। তাঁর আশঙ্কা, আগামী দিনে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে দেশের মৌলিক কাঠামো। এই পরিস্থিতিতে পদত্যাগই করাই শ্রেয় বলে মনে হয়েছে ৪০ বছর বয়সী আইএএস অফিসারের।
একটি বিখ্যাত বেসরকারি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজ ছেড়ে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেছিলেন শশীকান্ত সেন্থিল। ২০০৯ সালে ইউপিএসসিতে তাঁর সর্বভারতীয় র‍্যাঙ্ক ছিল ৯ এবং তামিলনাড়ুর মধ্যে প্রথম। ২০০৯ ব্যাচের কর্ণাটক ক্যাডারের আইএএস অফিসার প্রথমে যোগ দেন বল্লারির অ্যাসিস্টান্ট কমিশনারের পদে। এরপর সেন্থিল শিবমগগা জেলা পঞ্চায়েতের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, চিত্রদূর্গা ও রায়চরের ডেপুটি কমিশনার হিসেবে কাজ করেন। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ কন্নড়ের ডিসির পদে যোগ দেন। ১০ বছরের কর্মজীবনে বিশেষ সুনাম অর্জন করেন আইএএস অফিসার শশীকান্ত সেন্থিল।
কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কান্নান গোপীনাথনের পর দ্বিতীয় আইএএস অফিসার হিসেবে পদত্যাগ করলেন শশীকান্ত সেন্থিল। জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের প্রেক্ষিতে অগাস্টে পদত্যাগ করেন আইএএস অফিসার কান্নান গোপীনাথন। পদত্যাগপত্রে তিনি জানিয়েছিলেন, নিজের স্বাধীনতা ফিরে পেতে চান তিনি।

Comments are closed.