চলতি বছরে একের পর এক দুঃসংবাদ পাহাড় তৈরি করছিল। এবার সবার মন ভেঙে ছেড়ে চলে গেলেন ফুটবল জগতের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র ডিয়েগো মারাদোনা। ৬০ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন আর্জেন্তাইন ‘ব্যারিলেট কসমিকো’। নিজের ৬০ তম জন্মদিন পালনের পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। গতকাল হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত্যু ঘটে ফুটবল জগতের এক কিংবদন্তির। খেলার জগতে সব সময় শিরোনামে থাকতেন মারাদোনা। তবে মাঠের বাইরেও একাধিকবার বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন তিনি। জীবনশৈলী, ড্রাগস ইত্যাদি কারণে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর চলুন জেনে নিন তাঁর জীবনের সেই সব পর্বগুলি।
১৯৬০ সালে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এয়ার্সের একটা নোংরা বস্তিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মারাদোনা। ৮ ভাইবোনের মধ্যে মারাদনা ছিলেন পঞ্চমতম সন্তান। ছোটবেলা কাটিয়েছিলেন দারিদ্র্যের মধ্যে। ছোটবেলা থেকেই মারাদোনার সঙ্গে ফুটবলের এক আলাদাই সম্পর্ক ছিল। তাইতো ১৫ বছর বয়সেই ফুটবলের জগতের স্টার হয়ে যান তিনি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে পা রাখেন ১৬ বছর বয়সে। ১৯৭৮ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের জাতীয় দলে ঢুকতে পারেননি ছোট কাঁধের জন্য। তবে খেলার জগতে বেঁটে রাই বিশাল বড় বড় কাজ করেছে। তাই তাঁর হাত ধরেই আর্জেন্টিনা পায় ৮৬-র বিশ্বকাপ।
খেলার বাইরে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও কিছু কম ইন্টারেস্টিং নয়। এক সূত্রের খবর অনুযায়ী, ১১ টি সন্তানের বাবা ছিলেন মারাদোনা, একটা গোটা ফুটবল টিম। তবে আইনি মতে তাঁর দুটি সন্তান রয়েছে। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর কেবল দুটি বৈধ সন্তান আছে। আর বাকি সব তাঁর যৌবন ও ভুল সিদ্ধান্তের ফল। গত বছরই তিনি স্বীকার করেছিলেন, তাঁর অবৈধ তিন সন্তান রয়েছে কিউবায়। কেবল ১৭ বছর বয়স ছিল যখন ক্লাউডিয়া ভিলাফোনের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। দীর্ঘ সম্পর্কের পরে ১৯৮৯ সালে বিয়ে করেন দুজনে। যদিও ২০০৪ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় দুজনের মধ্যে। ২ কন্যা সন্তান রয়েছে তাঁদের।