ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যোগ হল নয়া মুকুট। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, গভীর সমুদ্রে সফল টহলদারির পরীক্ষায় বা ডেটারেন্স পেট্রোলে উত্তীর্ণ হয়েছে পারমাণবিক ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম আইএনএস অরিহন্ত। এর ফলে গভীর সমুদ্রের তলদেশে লুকিয়ে শত্রু পক্ষকে পারমাণবিক অস্ত্র দ্বারা আক্রমণ করার ক্ষমতা অর্জন করল ভারত। অরিহন্ত থেকে শুধুমাত্র সমুদ্রের মধ্যেই থাকা শত্রু পক্ষকে আক্রমণ করা যাবে তাই নয়, এর থেকে স্থলভাগেও নির্দিষ্ট লক্ষ্যে শত্রু পক্ষের উদ্দেশ্যে আক্রমণ শানানো যাবে। শত্রু পক্ষের সমুদ্র উপকূল ভাগের খুব কাছে গিয়ে সেই দেশের স্থলভাগে নির্দিষ্ট লক্ষে পারমাণবিক অস্ত্র সম্বলিত ক্ষেপনাস্ত্র ছুড়তে পারবে অরিহন্ত। বিশ্বের পাঁচটি দেশের হাতে রয়েছে এই প্রযুক্তি। আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের পর ভারতও এই তালিকায় ঢুকল। চিন ২০১৫ সালেই এই প্রযুক্তি হাতে পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এই কৃতিত্বের জন্য নৌসেনা ও দেশের প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পাকিস্তানের নাম না করে বলেছেন, এতদিন যারা ভারতকে পারমাণবিক অস্ত্রের ভয় দেখাতো এটা তাদের জবাব। অরিহান্তের এই বিশেষ টহলদারি বিষয়টি এতদিন সম্পূর্ণ গোপন ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন নিউক্লিয়ার কমান্ড অথরিটি এই ক্ল্যাসিফায়েড পরীক্ষার কথা শুধু জানত। ৬ হাজার টনের সাবমেরিন অরিহন্তের এই সাফল্যের জন্য বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ প্রমুখ।
Comments are closed.