TRP জালিয়াতি: নিউজ চ্যানেলের সাপ্তাহিক রেটিং দেওয়া বন্ধ করল BARC, শুরু হল তদন্ত

টিআরপি নিয়ে দেশে বিতর্কের ঝড়। অসৎভাবে টিআরপি বাড়িয়ে অ্যাড ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রিপাবলিক টিভির বিরুদ্ধে। তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশ। অন্যদিকে কার্যত একই অভিযোগ নিয়ে একাধিক বাংলা চ্যানেলের বিরুদ্ধে BARC কে চিঠি দিয়েছে রাজ্যের এক নম্বর নিউজ চ্যানেল এবিপি আনন্দ। একাধিক চ্যানেলের নাম করে সেই অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, তারা অসদুপায়ে টিআরপির একটি মানদণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। চারদিক থেকে ওঠা অভিযোগের জেরে নিউজ চ্যানেলের টিআরপি মাপার সংস্থা BARC নিউজ চ্যানেলগুলোকে সাপ্তাহিক তথ্য দেওয়া বন্ধ করে দিল। বৃহস্পতিবার BARC এর তরফে জানানো হয় এ কথা।
সম্প্রতি মুম্বই পুলিশ রিপাবলিক টিভি সহ তিন চ্যানেলের বিরুদ্ধে টিআরপি জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করে। তারপরই BARC এর এই সিদ্ধান্ত। তারা জানিয়েছে, রেটিং নথিভুক্তির গোটা প্রক্রিয়া রিভিউ করা হবে।

 

BARC এই সিদ্ধান্তের প্রভাব কাদের উপর? 

এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে কেবলমাত্র নিউজ চ্যানেলগুলোর উপর। সমস্ত বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি বা অন্য ভাষার নিউজ চ্যানেল এর আওতায়। এছাড়া সমস্ত বিজনেজ নিউজ চ্যানেলের উপরও প্রভাব পড়বে। তবে BARC রাজ্য ও ভাষা ধরে ধরে সাপ্তাহিক দর্শক সংখ্যা জানাবে।

 

পড়ুন: বাংলা নিউজেও TRP জালিয়াতি? এবিপি আনন্দের চিঠি নিয়ামক সংস্থা BARC কে, অভিযোগ একাধিক চ্যানেলের বিরুদ্ধে

 

BARC সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপট 

প্রকাশিত বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর পর গোটা প্রক্রিয়া রিভিউ করার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে হচ্ছে। পুরো প্রক্রিয়াটি আরও নিখুঁত করা যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। যাতে প্রক্রিয়ায় কোনও ফাঁক না থাকে।
অভিযোগ ছিল, যে সমস্ত বাড়িতে পিপল মিটার বসানো আছে, সেই টিভির রিমোট কন্ট্রোলের নিয়ন্ত্রণ নিতে অসদুপায় অবলম্বন করেছে সংশ্লিষ্ট নিউজ চ্যানেল। BARC নিজের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে দেখতে চাইছে তা আদৌ কতটা সম্ভব। আর যদি তা সম্ভব হয়, তাহলে তার অ্যান্টিডোট কী? জানাচ্ছেন BARC ইন্ডিয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান পুনীত গোয়েঙ্কা। BARC এই রিভিউ প্রসেসের জন্য আপাতত চ্যানেলগুলোকে সাপ্তাহিক রেটিং দেওয়া বন্ধ রেখেছে।

 

পড়ুন: ‘সাংবাদিকতাকে যেখানে নামিয়েছেন, আর নামাবেন না’, অর্ণবকে বেনজির আক্রমণ রাজদীপের! পিছনে কি রাজনৈতিক লড়াই?

 

কত সময় লাগবে স্বাভাবিক হতে? 

BARC এর চেয়ারম্যান পুনীত গোয়েঙ্কা জানিয়েছেন, গোটা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগবে। এই কদিন সাপ্তাহিক রেটিং তো পাবেনই না, এছাড়াও নিউজ চ্যানেলগুলো পাবে না,
ক. ইম্প্রেশন বা মনোভাব
খ. ডেইলি রিচ বা দৈনিক কত মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে
গ. অ্যাভারেজ টাইম স্পেন্ট (ATS)
ঘ. কিউমুলেটিভ রিচ
ঙ. রেটিং %
তবে এই সময়ের মধ্যে চ্যানেলগুলো রেটিং তথ্য না পেলেও BARC নিজের কাছে তা সংগ্রহ করে রাখবে।

Comments are closed.