সংসদে ইস্তফা দিয়ে ভোটে হার, কেউ আবার জিতেও হচ্ছেন না বিধায়ক! কী করছেন বিজেপির সাংসদরা?

২ মে’র ফলাফলে দেখা যায়, বিজেপির পাঁচ জন সাংসদের মধ্যে তিন জন পরাজিত হয়েছেন। নিশীথ প্রামানিক দিনহাটা থেকে এবং জগন্নাথ সরকার নদিয়ার শান্তিপুর থেকে জয়লাভ করেছেন

২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা জয়ের লক্ষ্যে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছিল গেরুয়া শিবির। ৫ জন সাংসদকে লোকসভা থেকে এনে বিধানসভায় প্রার্থী করেছিল বিজেপি। আসানসোলের দু’বারের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় টালিগঞ্জ কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন। নিশীথ প্রামানিক, লকেট চ্যাটার্জি, স্বপন দাসগুপ্ত, জগন্নাথ সরকার প্রার্থী হয়েছিলেন যথাক্রমে দিনহাটা, চুঁচুড়া, তারকেশ্বর, শান্তিপুর থেকে।

এঁদের মধ্যে স্বপন দাসগুপ্ত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ। বাংলায় বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে যে কয়েক জনের নাম উঠে আসছিল তাঁদের মধ্যে ছিলেন স্বপন দাসগুপ্ত। তারকেশ্বর কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার আগে তিনি রাজ্য সভার সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন।

২ মে’র ফলাফলে দেখা যায়, বিজেপির পাঁচ জন সাংসদের মধ্যে তিন জন পরাজিত হয়েছেন। নিশীথ প্রামানিক দিনহাটা থেকে এবং জগন্নাথ সরকার নদিয়ার শান্তিপুর থেকে জয়লাভ করেছেন।
স্বাভাবিক ভাবেই এই পাঁচ সাংসদের ভবিষৎ রাজনৈতিক জীবন নিয়ে কিছু প্রশ্ন তৈরী হয়েছে।

বাবুল সুপ্রিয় টালিগঞ্জে তৃণমূলের অরূপ বিশ্বাসের কাছে হেরেছেন ৫০,০৮০ ভোটে। আরেক সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি চুঁচুড়াতে তৃণমূলের অসিত মজুমদারের কাছে হেরেছেন ১৮,৪১৭ ভোটে। দু’জনের কাছেই লোকসভায় ফেরা ছাড়া উপায় নেই।

অন্যদিকে দিনহাটার বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামানিক তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহকে মাত্র ৫৭ ভোটে হারিয়েছেন।

সাংসদ জগন্নাথ সরকার নাদিয়া শান্তিপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী অজয় দে’কে হারিয়েছেন ১৫,৮৭৮ ভোটে।

বিজেপির বাকি জয়ী বিধায়কেরা বিধানসভায় শপথ নিলেও নিশীথ এবং জগন্নাথ সরকারকে দেখা যায়নি শপথ বাক্য পাঠ করতে।

স্বাভাবিকভাবেই দিনহাটা এবং শান্তিপুরে উপনির্বাচন হবে। সেক্ষেত্রে আসন ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ বিজেপির সামনে। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, বিধায়ক সংখ্যার উপর ভিত্তি করে রাজ্যসভায় সদস্য পাঠায় রাজনৈতিক দলগুলো। এই কারণে উপনির্বাচনে ২ আসন দখলে রাখতে মরিয়া হবে বিজেপি। পাশাপাশি আরও ২ আসনের উপ নির্বাচন হবে। প্রথমটি খড়দহ আসনে। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র কি নিজের পুরনো আসনেই দাঁড়াবেন? পাশাপাশি মমতা ব্যানার্জিও একটি আসন থেকে ভোটে লড়বেন।

তবে সবচেয়ে বেকায়দায় স্বপন দাশগুপ্ত। রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদ বাংলায় জেতার ব্যাপারে এতটাই নিশ্চিত ছিলেন যে সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়ে ভোটে লড়েন। কিন্তু তারকেশ্বরে স্বপন দাশগুপ্ত হেরে যান। অর্থাৎ সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়ে বিধায়ক ভোটেও হার। এবার কী করবেন তিনি? জানা যায়নি।

Comments are closed.