সংগঠনের ফাটল মেরামতে ৫ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে জেলায় পাঠাচ্ছে বিজেপি, রিপোর্ট দেখে রণকৌশল সাজাবেন অমিত শাহ

বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলতে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তার মধ্যে বাংলা জয়ের প্রস্তুতি হিসেবে আরও এক কর্মসূচি নিল বিজেপি। 

কিছুদিন ধরেই রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও গোষ্ঠী কোন্দলের কথা প্রকাশ্যে আসছে। জেলায় জেলায় বিজেপি নেতারা কর্মীদের নিয়ে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। যা নিয়ে অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব। ভোটের আগে দ্রুত ফাটল মেরামত করে কর্মীদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতে দলের পাঁচ নেতাকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে বাংলায় পাঠাচ্ছেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও সর্বভারতীয় সংগঠন সম্পাদক বিএল সন্তোষ।

জানা যাচ্ছে, বাংলাকে পাঁচটি পৃথক জোনে ভাগ করে সুনীল দেওধর, বিনোদ তাউড়ে, দুষ্মন্ত গৌতম, সতীশ দ্বিবেদী ও বিনোদ শঙ্কর, এই পাঁচ নেতাকে সাংগঠনিক ইস্যু খতিয়ে দেখার ভার দেওয়া হয়েছে। এই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের মূল কাজ হল মুখোমুখি কথা বলে তৃণমূলস্তরের কর্মীদের ফিডব্যাক নেওয়া। সেই রিপোর্ট যাবে দিল্লি। অমিত শাহ তা খতিয়ে দেখার পর ৩০ নভেম্বর ফের রাজ্যে আসতে পারেন। 

সাংগঠনিক কাজের সুবিধার জন্য উত্তরবঙ্গ, রাঢ় অঞ্চল, নবদ্বীপ, হুগলি-মেদিনীপুর ও কলকাতা, বাংলাকে পাঁচ অঞ্চলে ভাগ করেছে গেরুয়া শিবির। এই ৫ অঞ্চলেই যাবেন পাঁচ নেতা।

বঙ্গ বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, কর্মীদের মধ্যে শৃঙ্খলা, বিশ্বাস অটুট রেখে একযোগে কাজ করার বার্তা দেওয়াই অভিযানের উদ্দেশ্য। সেই সঙ্গে স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও অভাব-অভিযোগ থাকলে তা সরাসরি যাতে রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বের কানে দেওয়া হয় সেই বার্তাও থাকবে। বাংলার ব্লক ও জেলাস্তরে দলের সংগঠনের প্রকৃত অবস্থা জেনে রিপোর্ট যাবে সোজা দিল্লির বিজেপি নেতাদের কাছে।

ত্রিপুরায় বিজেপির জয়ের অন্যতম কারিগর সুনীল দেওধর সফর করবেন হাওড়া, হুগলি থেকে মেদিনীপুর। সব মিলিয়ে ৬৯ টি বিধানসভা কেন্দ্রের সংগঠনের খুঁটিনাটি রিপোর্ট করবেন তিনি। বিনোদ তাউড়েকে দেওয়া হচ্ছে নবদ্বীপ অঞ্চল বা দক্ষিণ-মধ্য জেলাগুলির ভার এবং বাকি দু’জনের হাতে থাকছে রাজ্যের অবশিষ্ট অংশের দায়িত্ব। 

এদিকে মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষের। সেখানে ৫ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকও ছিলেন। হাজির ছিলেন অমিত মালব্য।

Comments are closed.