বিজেপি রাজনৈতিকভাবে নার্ভাস হয়ে গেছে, সোনিয়ার সঙ্গে মিটিংয়ের পর বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলায় তৃণমূল-বিজেপির লড়াইটা শুরু হয়েছিল অনেক দিন আগেই। ২০১৬ বিধানসভা ভোটের পর থেকে যত উপনির্বাচন হয়েছে সর্বত্রই সেই প্রবণতা স্পষ্ট। পঞ্চায়েত ভোটেও দু’নম্বরে উঠে এসেছে বিজেপি। এবার অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে আরও সংঘাত তীব্র হল বিজেপি এবং তৃণমূলের। মঙ্গলবারই দিল্লিতে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রে সরকার বদলের ডাক দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে আরও একধাপ এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘বিজেপি রাজনৈতিকভাবে নার্ভাস হয়ে গিয়েছে, তাই যা ইচ্ছে বলছে। যা ইচ্ছে করছে। ওরা টেনসড। বুঝে গেছে ২০১৯ সালে ওরা আর ক্ষমতায় আসবে না।’
আগামী ১১ ই অগাস্ট কলকাতায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর যে সমাবেশ রয়েছে তা নিয়েও এদিন আক্রমণাত্মক ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অমিত শাহ ৩৬৫ দিন বাংলায় থাকলেও কিছু করতে পারবেন না। বরং তিনি বাংলায় থাকলে ভালোই হবে, গোটা দেশ বেঁচে যাবে।’ চলতি দিল্লি সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। পাশাপাশি আগামী লোকসভা ভোটের জন্য বিজেপির বিরুদ্ধে সমস্ত বিরোধী শক্তিকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের প্রস্তুতিও এই সফর থেকে শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন তিনি প্রাক্তন প্রধানমত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার সঙ্গে দেখা করেন। তারপর বিকেলে তিনি দেখা করেন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও। দেখা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেও।
কয়েক দিন আগেই কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব ইঙ্গিত দিয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা মায়াবতী যে কেউ প্রধানমন্ত্রী হলে তাঁদের আপত্তি নেই। জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি যে অন্যতম মুখ তাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দিল্লি সফরে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পরপর দুদিন অসম ইস্যু নিয়ে সংসদ কার্যত অচল করে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। অন্যদিকে, অমিত শাহ থেকে শুরু করে অনন্ত কুমার, কিরেন রিজিজুর মতো বিজেপির প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীরাও ব্যস্ত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায়। ইতিমধ্যেই ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তৃণমুলের এক নেতার কথায়, ‘বাংলা তো বটেই, আগামী ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী শিবিরের অন্যতম মুখ হিসেবেই উঠে এসেছেন দিদি। আর এই দিল্লি সফরেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.