বিজেপিকে উগ্রবাদী সংগঠনের সঙ্গে তুলনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজেপিকে উগ্রবাদী সংগঠনের সঙ্গে তুলনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহষ্পতিবার কলকাতায় ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে বিজেপির নাম উল্লেখ করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘আমরা ওদের মতো উগ্রবাদী সংগঠন নই। বিজেপির একটা ঔদ্ধত্যবোধ আছে, উগ্রতা আছে, ধর্মীয় বিদ্বেষ আছে। ওরা কাউকেই পছন্দ করে না। ওরা হিন্দুদের মধ্যেও বিভেদ ঘটাচ্ছে, হিন্দুদেরও মারছে’। এই কথা বলে বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূল নেত্রী।
কয়েকদিন আগেই বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তুলনা করেছিল সিআইএ। তা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানায় এই দুই সংগঠন। কিন্তু এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে দলীয় মিটিংয়ে বিজেপিকে সরাসরি নাম করে উগ্রবাদী সংগঠন বলে উল্লেখ করলেন, লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতিতে তা নতুন মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছেন অনেকে।
পাশাপাশি, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলীয় বৈঠকে কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপিকে একযোগে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কংগ্রেস দিল্লিতে বিজেপির বিরোধিতা করছে কিন্তু রাজ্যে তাদেরই হাত ধরছে’। পাশাপাশি সিপিএমের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ তোলেন তিনি। তৃণমূল নেত্রী বলেন ‘সিপিএম এখন রাজ্যে বিজেপির হাত ধরেছে। পঞ্চায়েত ভোটে সবার ক্ষমতা দেখা হয়ে গেছে।’ দলের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই তিন দলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার ডাক দেন তৃণমূল নেত্রী।
কয়েকদিন আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূল কর্মীদের এনকাউন্টার করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। নেতাজি ইন্ডোরের সভায় দিলীপ ঘোষের নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘কেউ কেউ বলছেন এনকাউন্টার করবেন, আসুন ক্ষমতা দেখান। গুলি, বন্দুক দিয়ে রাজনীতি হয় না’। তিনি আরও বলেন, ‘মাত্র আট মাসের মধ্যে দেশে লোকসভা নির্বাচন। বিজেপি ইভিএমে জালিয়াতি করতে পারে। তার থেকে কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে’। জঙ্গলমহলে দলের খারাপ ফলাফলের জন্য বিজেপির অপ্রচার ও  টাকা ছড়ানোকে দায়ী করেছেন তৃণমূল নেত্রী।

Leave A Reply

Your email address will not be published.