ফুলের মালা এবং জয় শ্রীরাম, ভারত মাতা কি জয় স্লোগানের মধ্যে দিয়ে বুলন্দশহরে পুলিশ ইন্সপেক্টর খুনে অভিযুক্ত ৭ জনকে বরণ করে নিলেন সমর্থকেরা। অভিযুক্তদের জামিনে মুক্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে দেওয়া হল পার্টি। রাতভর চলল হুল্লোড়।
শনিবার সন্ধ্যায় বুলন্দশহর জেল থেকে জামিনে মুক্তি পান ৭ অভিযুক্ত। জেল থেকে বাইরে বেরিয়ে আসতেই পুলিশ অফিসার খুনে অভিযুক্তদের মালা পরিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে জেলের আশপাশ। তারপর চলে পার্টি।
রবিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ খুনের মামলায় অভিযুক্ত বিজেপির যুব মোর্চা সদস্য শিখর আগরওয়াল, সেনাকর্মী জিতেন্দ্র মালিক, রাজীব, রোহিত, রাঘব, রাজকুমার এবং সৌরভকে মালা পরিয়ে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে সমর্থকরা। পুলিশ খুনে অভিযুক্তদের সঙ্গে সেলফি তুলতেও দেখা যাচ্ছে সমর্থকদের।
২০১৮ সালের ৩ রা ডিসেম্বর উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের সিয়ানায় একটি চিনি কলের মাঠে গরুর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। ঘটনাস্থলে গিয়ে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় পুলিশ অফিসার সুবোধ কুমার সিংহের। এছাড়া সুমিত কুমার নামে আরও এক স্থানীয় বাসিন্দারও মৃত্যু হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পুলিশ ফাঁড়িতে। চাপের মুখে পড়ে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এই প্রেক্ষিতে ২৭ জনের নামে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ, তাছাড়াও ৬০ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ অফিসার সুবোধ কুমার সিংহকে খুনের অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, ডাকাতি, রাষ্ট্রদ্রোহিতার মতো ধারায় মামলা দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু শনিবার রাতে ছাড়া পাওয়া ৭ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন নয়, দাঙ্গা বাধানোর মামলা রুজু করা হয়েছিল বলে জানান বুলন্দশহরের সিনিয়র পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট সন্তোষ কুমার সিংহ। তিনি জানান, ১০ জনই জামিন পেয়েছেন, এর মধ্যে ৭ জনকে শনিবার মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
Comments are closed.