ভারতের দ্বিতীয় ভ্যাকসিন প্রোজেক্ট: কোভ্যাক্সিনের পর ক্যাডিলার কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু এ মাসেই

কোভিড ১৯ এর ভ্যাকসিন খুঁজতে দুনিয়াজুড়ে চলছে গবেষণা। এ দেশেও ভারত বায়োটেকের কোভাক্সিনের ফেজ ওয়ান এবং ফেজ টু হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে। এবার ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ক্যাডিলার সম্ভাব্য কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন ZyCoV-D এর হিউম্যান ট্রায়ালের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেল।
এ মাসেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর ট্রায়াল প্রয়োগ করা হবে। গত সপ্তাহে জাইডাস ক্যাডিলা গোষ্ঠীকে প্রস্তাবিত কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের ফেজ ১ ও ফেজ ২ হিউম্যান ট্রায়ালের ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বা DCGI।
জাইডাস ক্যাডিলার চেয়ারম্যান পঙ্কজ প্যাটেল জানাচ্ছেন, ট্রায়াল শেষ হতে ৩ মাস সময় লাগবে। ফেজ ১ ও ফেজ ২ ট্রায়াল সফলভাবে শেষ করলে ড্রাগ কন্ট্রোল থেকে সংস্থাকে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে ন্যূনতম আরও ৩ মাস সময় লেগে যাবে ভ্যাকসিন বাজারে আসতে, বলেন পঙ্কজ প্যাটেল।
আহমেদাবাদে জাইডাসের ভ্যাকসিন টেকনোলজি সেন্টারের গবেষণাগারে ZyCoV-D এর অ্যানিমেল ট্রায়ালে সন্তোষজনক ফল পাওয়া গিয়েছে। ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে তা বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম বলে সংস্থার দাবি।
ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে গেলে তা দেশে বিক্রি হবে না বিদেশে?
পঙ্কজ প্যাটেল বলছেন, দেশের চাহিদা পূরণ না হওয়া অবধি বিদেশে রফতানি নয়। এটাই কোম্পানির নীতি। পাশাপাশি অন্যান্য দেশকে ভ্যাকসিনের প্রযুক্তি সরবরাহ করা হতে পারে, যাতে তারা নিজেরাই ভ্যাকসিন তৈরি করে নিতে পারেন।
এ মাসেই প্রথম দুই পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়ে যাবে ZyCoV-D এর। জোড়া ট্রায়ালে সাফল্যের উপর নির্ভর করছে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমতি পাওয়া যাবে কিনা। তবে সংস্থার গবেষকরা আশাবাদী তাঁদের ভ্যাকসিন সবদিক থেকেই মানোত্তীর্ণ হবে।
অন্যদিকে কোভাক্সিনের হিউম্যান ট্রায়ালও শুরু হয়ে যাবে। ১,১০০ মানুষের উপর তা প্রয়োগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ভারত বায়োটেক সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে ৩৭৫ জন মানুষের উপর প্রথমবার হিউম্যান ট্রায়াল চালানো হবে।

Comments are closed.