নির্ভয়া-কাণ্ডে অক্ষয় ঠাকুরের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ রাষ্ট্রপতির, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকার

বুধবার দিল্লির নির্ভয়া গণধর্ষণ-কাণ্ডে অন্যতম দোষী সাব্যস্ত অক্ষয় ঠাকুরের প্রাণভিক্ষার আবেদনও খারিজ করে দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এই নিয়ে তৃতীয় আসামীর প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হয়ে গেল। এর আগে অন্য দুই দোষী বিনয় শর্মা এবং মুকেশ সিংয়ের প্রাণভিক্ষার আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এই তিনজনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর এবার মনে করা হচ্ছে,  চতুর্থ আসামী পবন গুপ্ত রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে দিল্লিতে ওই ভয়াবহ ঘটনায় অভিযুক্ত বিনয় শর্মা, পবন গুপ্ত, মুকেশ সিং এবং অক্ষয় ঠাকুরকে বছর খানেক আগেই দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। এর পরে নানা অছিলায়, আইনি ফাঁকফোঁকরের সুযোগ নিয়ে এই অপরাধীদের ফাঁসি যাতে কার্যকর না হয়, তার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অভিযুক্তের আইনজীবী। যেহেতু চার জনই একই ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হয়েছে তাই তাদের একসঙ্গেই সাজা কার্যকর হওয়ার কথা। এই সুযোগ নিয়েই আলাদা আলাদাভাবে চার অপরাধীর হয়ে কখনও রাষ্ট্রপতির, কখনও বা আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছেন তাদের আইনজীবী, যাতে তাদের প্রাণভিক্ষা দেওয়া হয় বা সাজা কমানো হয়।
এরকমই এক আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩১ জানুয়ারি দিল্লির এক আদালত অনির্দিষ্টকালের জন্য ফাঁসি কার্যকরের সাজা পিছিয়ে দেয়। যার বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে যৌথ আবেদন জানায় কেন্দ্র ও দিল্লি সরকার। বলা হয়, দ্রুত যেন মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই আবেদনে অবশ্য বুধবার সায় দেয়নি হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, সাত দিনের মধ্যে যাবতীয় আইনি পদক্ষেপ শেষ করতে হবে আসামী পক্ষকে। যদিও এই সাত দিনের সময়সীমাও আর মানতে চাইছে না কেন্দ্র ও দিল্লি সরকার। তাই হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এদিনই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে দুই সরকার।

Comments are closed.