কগনিজেন্টে ব্যাপক ছাঁটাই? কৌশলগত পুনর্গঠনের জেরে ৭ হাজারেরও বেশি কর্মহীনের আশঙ্কা

ফের ছাঁটাইয়ের ভ্রূকুটি। এবার কাজ যেতে পারে বিপুল সংখ্যক উচ্চপদস্থ তথ্য প্রযুক্তি কর্মীর। আগামী কয়েকটি ত্রৈমাসিকে বিখ্যাত মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা কগনিজেন্ট ধাপে ধাপে ৭ হাজারেরও বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে। পাশাপাশি কনটেন্ট মডারেশন ব্যবসা থেকেও সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ফলে বেকার হয়ে পড়বেন আরও অন্তত ৬ হাজার কর্মী। এই ব্যবসায় কগনিজেন্টের ক্লায়েন্টদের মধ্যে অন্যতম ফেসবুক। একে কগনিজেন্টের কাজের কাঠামো ঢেলে সাজার উদ্যোগের প্রথম ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে। এমনই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে দ্য ইকনমিক টাইমসে।
ইংরেজি দৈনিক দ্য ইকনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি নিউ জার্সিতে কগনিজেন্টের সদর দফতর সূত্রে এই তথ্য জানা গিয়েছে। কগনিজেন্ট জানিয়েছে, বর্তমানে কর্মরত উচ্চ পদস্থ ও পদস্থ প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার কর্মীকে তাদের বর্তমান পদ থেকে সরানোর কথা ভাবছে তারা। এরমধ্যে ৫ হাজার কর্মীকে নয়া প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অন্য পদে বসানো হবে। সব মিলিয়ে আগামী কয়েকটি ত্রৈমাসিকে প্রায় ৭ হাজার কর্মীর কাজ যেতে পারে বলে জানাচ্ছে কগনিজেন্ট সূত্রের খবর। সংস্থার এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানান, কগনিজেন্টের মোট কর্মী সংখ্যা থেকে ২ শতাংশ কর্মীকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কগনিজেন্টেস সিইও ব্রায়ান হামফ্রেইজ বলেন, সংস্থার কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য ১০ থেকে ১২ হাজার মাঝারি থেকে সিনিয়র কর্মীদের, তাঁদের বর্তমান পদ থেকে সরানোর মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এতে একদিকে যেমন সংস্থার অর্থ বাঁচবে অন্যদিকে নয়া প্রশিক্ষণেরও সুব্যবস্থা করা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। কনটেন্ট মডারেশন ব্যবসা থেকেও সরে আসছে কগনিজেন্ট। এতে কর্মহীন হতে পারেন সারা পৃথিবীর অন্তত ৬ হাজার কর্মী। তবে যে কর্মীদের ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাঁদের জন্য কী ভাবনা রয়েছে কগনিজেন্টের তার কোনও বিশদ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

Comments are closed.