শক্তিশালী হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আমফান, মঙ্গল-বুধবার আছড়ে পড়তে পারে রাজ্যে

করোনা আবহে রাজ্যে নতুন আতঙ্ক। শনিবার বিকেলের মধ্যেই দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ গভীর হতে পারে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। যার ফলে মঙ্গলবারের মধ্যে রাজ্যের উপর আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’।
হাওয়া অফিস বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে চলেছে এই নিম্নচাপ। থাইল্যান্ডের নাম দেওয়া এই ‘আমফান’ ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ প্রথমে উত্তরমুখী হলেও, পরে তা বাঁক নিয়ে তা উত্তর-পূর্ব দিকে আস্তে আস্তে এগোবে। গতিপ্রকৃতি যা বোঝা যাচ্ছে, তাতে মঙ্গল বা বুধবার এ রাজ্যের উপকূলে ‘আমফান’এর আছড়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
রবিবার এই ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তি বাড়াতে পারে। উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় আমফানের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার। পরে স্থলভাগের দিকে যত এগবে, গতি আস্তে আস্তে কমবে। তবে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে আছড়ে পড়ার সময় আমফান ঘূর্ণিঝড় কতটা শক্তিশালী থাকবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

তবে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের উপরে গভীর নিম্নচাপ ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ১ হাজার ৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। তবে প্রাথমিক পূর্বাভাস পেয়েই সতর্ক হচ্ছে রাজ্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা, মৌসুনি দ্বীপ, সাগর, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপের বেহাল নদী ও সমুদ্র বাঁধের পাশে বসবাসকারী বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন ব্যানার্জি জানান, ফিজিক্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে তৈরি রাখা হচ্ছে উপকূলরক্ষী বাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা টিমকে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে রাজ্য প্রশাসন।

Comments are closed.