যেকোনও সময় ব্ল্যাকআউট হতে পারে দিল্লি, আশঙ্কা প্রকাশ করে টুইট মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের

একদিকে প্রবল তাপপ্রভাব অন্যদিকে কয়লার সঙ্কট। ব্ল্যাক আউট হয়ে যেতে পারে রাজধানী  দিল্লি। যেকোনও সময় দিল্লি মেট্রো, সরকারি হাসপাতালগুলিতে অন্ধকার হয়ে যেতে পারে। শুক্রবার সকালে আশঙ্কা প্রকাশ করে টুইট করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি লিখেছেন, সারাদেশে বিদ্যুতের চরম সমস্যা চলছে। দিল্লিতে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে। গোটা ভারতে পরিস্থিতি খুবই গুরুতর। এর থেকে মুক্তি পেতে সকলকে একজোটে কাজ করতে হবে। এই সমস্যা মোকাবেলায় অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

রাজধানীতে রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ উৎপাদন করা হয় দাদরি-২ এবং উনছাহার বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি থেকে। এই দুই কেন্দ্রেই কয়লার ঘাটতি দেখা গিয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রভাব পড়ছে। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে জরুরি বৈঠকে বসেছেন দিল্লির বিদ্যুৎ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তিনি চিঠি দিয়ে কেন্দ্রকে আবেদন করেছেন, যেভাবে হোক দিল্লিতে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী উৎপাদন কেন্দ্রে কয়লার জোগান বাড়ানো হোক। দিল্লিতে প্রতিদিন যতপরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়, তার অধিকাংশ উৎপন্ন হয় দাদরি ২-তে। পাশাপাশি উঁচাহার, খাহালগাও, ফরাক্কা, ঝাজার এই পাঁচ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ১,৭৫১ মেগাওয়ায়। আর দাদরি-২ থেকে প্রতিদিন উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ৭২৮ মেগাওয়াট।

অন্যদিকে রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর পাওয়া গিয়েছে, গরমের দিনে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। এরফলে কয়লা সরবরাহও অনেকটা বেড়েছে। বর্তমানে রোজ গড়ে ৪১৫টি কয়লাবাহী ট্রেন চালাতে হচ্ছে। প্রতিটি সাড়ে তিন হাজার টন কয়লা বহন করছে ট্রেনগুলি। নির্দিষ্ট সময়ে ওই কয়লাবাহী ট্রেনগুলিকে গন্তব্যে পৌঁছে আগামী ২৪ মে পর্যন্ত ৬৭০টি যাত্রিবাহী ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।

Comments are closed.